পাতা:কিন্নর দল - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

द्रि ळ Rèb কাছে বন্ধক রাখা হ’ল এবং নির্দিষ্ট দিনে মায়ে ছেলেয় কলকাতায় রওনা হোল। চিৎপুর শোভাবাজারে শঙ্কর মিত্রের লেনে ওদের গ্রামের এক নাপিত থাকতো। বাক্স হাতে বুলিয়ে জাত-ব্যবসা করে সে ত্রিশ চল্লিশ টাকা রোজগার করতে মাসে। গোকুল খুঁজে খুঁজে তার বাসা বার করলে। একখানা ছোট্ট খোলার ঘর—তাতে সে একা থাকে, নিকটবৰ্ত্তী হােটেলে একবেলা ডাল-ভাত খার, একবেলা মুড়ি খেয়ে কাটায়, এই তার অবস্থা। গ্রামের ব্ৰাহ্মণ কন্যা, তার খোলার ঘরে অতিথি, বন্ধু পরামাণিক শশব্যস্ত হয়ে উঠলো। রায়ার হাড়ি কুড়ি কিনে নিয়ে এস্ট, আর নিয়ে এল চাল, ডাল, তরকারী। খোলার ঘরে একখানা ছোট্ট পরিচালার নীচে আপাততঃ রান্নার ব্যবস্থা করা হোল। বন্ধু বল্লে-মা ঠাকরুণ, রোজ রোজ মারি উড়ে বামুনের রান্না খেয়ে, আজ আমার সৌভাগ্যি যে আপনারা এয়েচেন, মা ঠাকরুণের হাতের দু'টি প্ৰসাদ খেয়ে বঁাচবো। আজ । গোকুল আর তার মা বন্ধু পরামাণিকের সেই খোলার বাসার পাশেই আর একখানা ছোট খোলার ঘর নিলে। মাসে মাত্র তিনটি कि उांएट्रां । গোকুলের মা এখানে এসে অকুল সমুদ্রে পড়ে গিয়েছে-একমাত্র ভরসা বন্ধু পরামাণিক যে কলকাতার রাস্তাঘাট চেনে-সে। যদি কিছু কিনারা করতে পারে। এর । প্রতিদিন দুপুরে আর সন্ধ্যাবেল নিকটেই কোথায় শাখ, ঘণ্টা, কঁাসরের আওয়াজ আসে। একদিন গোকুলের মা জিগ্যেস করলেহঁ্যা বন্ধু, এখানে কি কোথাও ঠাকুরবাড়ী আছে নাকি ? বন্ধু বল্লে, হঁ্যা মা ঠাকরুণ, পাশেই মিত্তিরবাড়ী, ওরা মস্ত বড়লোক । ওদেরই তো ঠাকুরবাড়ী রয়েছে বাড়ীতেই। এই রাসের সময় খুব ধুমধাম