পাতা:কুরু পাণ্ডব - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৮৬
কুরু পাণ্ডব
[১১

১১

 শরশয্যায় শয়ান মহামতি ভীষ্মকে আমন্ত্রণ করিয়া কর্ণ গলদশ্রুলোচনে কৌরব-সৈন্যগণের মধ্যে উপস্থিত হইয়া তাহাদিগকে নানাবাক্য-বিন্যাসে আশ্বাস প্রদান করিতে লাগিলেন। দুর্য্যোধন বহুদিবসের পর কর্ণকে যুদ্ধক্ষেত্রে রথারূঢ় দেখিয়া প্রফুল্লচিত্তে কহিলেন—

 হে কর্ণ! তুমি সৈন্যগণের রক্ষার ভার গ্রহণ করায় অদ্য তাহাদিগকে পুনরায় সনাথ বােধ হইতেছে। এক্ষণে কি কর্ত্তব্য, তাহা তুমি অবধারণ কর।

 কর্ণ কহিলেন—মহারাজ! উপস্থিত মহাত্মারা সকলেই মহাবলপরাক্রান্ত ও সমরজ্ঞ; অতএব সকলেই সেনাপতি হইবার উপযুক্ত। কিন্তু ইঁহারা পরস্পরের সহিত স্পর্ধা করিয়া থাকেন, সুতরাং ইঁহাদের মধ্যে একজনকে সৎকার করিলে মনঃক্ষুণ্ণ হইয়া অবশিষ্ট সকলে হিতৈষী হইয়া যুদ্ধ করিবেন না; অতএব কোন বিশেষ গুণে অলঙ্কৃত ব্যক্তিকেই নির্ব্বচন করা বিধেয়। এই নিমিত্ত ধনুর্দ্ধরাগ্রগণ্য সকলযােদ্ধার আচার্য্য দ্রোণকে সেনাপতি করা কর্ত্তব্য। সকলেই প্রীতিপূর্ব্বক শুক্র ও বৃহস্পতিতুল্য দুর্দ্ধর্ষ ভারদ্বাজের অনুগমন করিবেন।

 রাজা দুর্য্যোধন কর্ণের বাক্য শ্রবণ করিয়া সেনা-মধ্যস্থিত দ্রোণাচার্য্যকে কহিলেন―