পাতা:কৃষ্ণকলি ইত্যাদি গল্প - পরশুরাম.pdf/১৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
কৃষ্ণকলি

 আকাশের দিকে হাত বাড়িয়ে পিণ্টু চেঁচিয়ে উঠল—ওই ওই ওই একটা নীলকণ্ঠ পাখি উড়ে গেল!

 নিমাই বললে, এদিকে দেখনে সার, উঃ কি ভয়ানক পেয়ারা ফলেছে, কাশীর পেয়ারার চাইতে বড় বড়! নিশ্চয় এ বাড়িরও দরোয়ান আর মালীর মধ্যে ঝগড়া আছে তাই চুরি যায় নি।

 ফটকে তালা নেই। সুধীর ভিতরে ঢুকে এদিক ওদিক উঁকি মেরে বললে, কাকেও তো কোথাও দেখছি না, কিন্তু ঘরের জানালা খোলা, মশারি টাঙানো রয়েছে। বোধ হয় সবাই বেড়াতে গেছে। দরোয়ান, ও দরোয়ানজী, ও মালী!

 কোনও সাড়া পাওয়া গেল না। তখন সকলে ভিতরে এসে ফটকের পাল্লা ভেজিয়ে দিলে।

 নিমাই বললে, একটা পেয়ারা পাড়ব সার?

 প্রবোধ বললে, বাজারে প্রচুর পেয়ারা দেখেছি, নিশ্চয় খুব সস্তা, খেতে চাও তো কিনে খেয়ো। বিনা অনুমতিতে পরের দ্রব্য নিলে চুরি করা হয় তা জান না?

 — জানি সার। চুরি করব না, শ‍ুধু একটা চেখে দেখব কাশীর পেয়ারার চাইতে ভাল কি মন্দ।

 প্রবোধ পিছন ফিরে গম্ভীর ভাবে একটা তালগাছের মাথা নিরীক্ষণ করতে লাগল। মৌনং সম্মতিলক্ষণম্ ধরে নিয়ে নিমাই গাছে উঠল। একটা পেয়ারা পেড়ে কামড় দিয়ে বললে, বোম্বাই আমের চাইতে মিষ্টি!

 সুধীর বললে, এই নিমে, সাব‍্কে একটা দে।

১২৬