পাতা:ক্লাইব চরিত - সত্যচরণ শাস্ত্রী.pdf/১৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জাফরের পত্র । ృ\రి) কদম হোসেন, মীরণ, মীরকাসীম, লতিফ খাঁ এবং রাজা দুলভরাম সকলেই,কর্ণেল এবং সমস্ত জেণ্টলমানকে সেলাম জানাইয়াছেন।” পত্ৰখানি ক্লাইব অপরাহ্ন ৫টার সময় প্রাপ্ত হন। পাঠক, পত্ৰখানি একটু ভাল করিয়া পাঠ করুন, স্বাধীন মীরজাফরের পরাধীন হইবার উপক্রম কালে, তাহার ভাষা কিরূপ পরিবর্তন হইল তাহা লক্ষ্য করিবার বিষয় । সঙ্গে সঙ্গে সেলামের বহর ও কেমন বৰ্দ্ধিত হইল তাহাও দেখিবার জিনিস। মীরজাফর, নবাবের কাছে উপস্থিত হইয়া উপদেশ দিলেন এখন আর যুদ্ধের আবখ্যক নাই, মোহনলাল ও সিনফ্রেকে প্রত্যবৰ্ত্তন করিতে আদেশ করুন, সৈন্যগণ আজ বিশ্রাম করিয়া পুনরায় কাল যুদ্ধে প্রবৃত্ত হইবে । এ সময় মোহনলাল ও সিনফ্রে ইংরেজদের সহিত যুদ্ধ করিতেছিলেন। নবাবের আজ্ঞয় অনিচ্ছ সত্ত্বে র্তাহার প্রত্যাগমন করিলে, কিলপাটিক পরিচালিত ইংরেজ সৈন্ত নবাব সৈন্সের পশ্চাদ্ধাবিত হইল। ক্লাইব এ সময় পলাশী ভবনে নিদ্র। যাইতেছিলেন । নিদ্রা ভঙ্গের পর দেখিলেন কিলপাটিক র্তাহার অনুমতি না লইয়া শক্র, সৈন্ত আক্রমণ করিয়াছেন। বীর পুরুষের ক্রোধের সীমা রহিল না। তিনি তৎক্ষণাৎ কিলপাঢ়ি ককে যথেষ্টরূপে ভৎসনা করিলেন। নবাবের যাহা কিছু জয়ের আশা ছিল, তাহ মীরজাফরের পরামর্শে, মোহনলালের প্রত্যাগমনের সহিত তাহাও অন্তৰ্হিত হইল । তিনিও পরাজয় বার্তা বহন করিয়া উঠু পৃষ্ঠে সৰ্ব্ব প্রথমে রাজধানীতে উপস্থিত হইলেন । ইহাই ইতিহাসে পলাশীর যুদ্ধ নামে অভিহিত হইল। ইংরেজ এইরূপে অসি-বলে বাঙ্গালা দেশের রাজমুকুট পলাশী প্রাঙ্গণে প্রাপ্ত ইইলেন ।