পাতা:ক্লাইব চরিত - সত্যচরণ শাস্ত্রী.pdf/১৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Σ & 8 ক্লাইব চরিত । সে সিংহাসন চু্যত হইয়াছে। বৰ্ত্তমান নবাব ভাল লোক ইহার , অধীনে সকলে সুখ স্বচ্ছন্দতার সহিত অবস্থান করিবে । আমরা ইহার রাজকাৰ্য্যে কোনরূপ হস্তক্ষেপ করিব,না-নবাবের উপরই তাহ সম্পূর্ণ নির্ভর করিবে । আমরা কলিকাতায় প্রত্যাগমন করিয়া ব্যবসাবাণিজ্যে মনোনিবেশ করিব, ইহা ব্যতীত এ অঞ্চলে আমাদের আর অন্য কোন মতলব নাই।” এ দিবস আর অন্য কোন কথা হইল না। পাঠক, ক্লাইবের ঘুম পাড়ান মন্ত্রের দিকে একটু লক্ষ্য করিবেন । ইংরেজ এই সম্মোহন অস্ত্রের সাহায্যে নবাবকে মোহে অভিভূত করিয়া স্বকাৰ্য্য সাধনে দৃঢ়ব্ৰত হইলেন। একজন যুবকের সম্মোহনে আমাদের দেশ শুদ্ধ লোক সন্মোহিত হইল, যুবকের পক্ষে এ বড় কম প্রশংসার কথা নহে । আমার সমস্ত অধীন, সমস্ত আমারই ভোগ্য, আমি পরাধীনতার জন্য জন্মগ্রহণ করি নাই ইত্যাদি ভাবনাই সম্মোহনের মূলমন্ত্র । ক্লাইবের এই ভাবনা, নবাবের অস্থি মজ্জার ভিতর অনুবিদ্ধ হইয়াছিল, তাই ক্লাইব নবাবের উপর অসাধারণ আধিপত্য ংস্থাপন করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন। প্রত্যাগমন কালে ক্লাইবের জগৎশেঠের সহিত সাক্ষাৎ হইয়াছিল। পরদিবস প্রাতঃকালে মীরজাফর ক্লাইবের সহিত দেখা করিতে যান। লৌকিক শিষ্টাচারের পর প্রথমেই টাকার কথা উঠিল। ক্লাইবের বুঝিতে বাকি রহিল না যে মন্ত্রীর প্রচুর টাকা গোপন করিয়াছে। সে কথা লইয়া পীড়াপিড়ি করিলে চাই কি বিপরীত ফল ফলিতে পারে এই বুঝিয়। ক্লাইব আর সে কথার উত্থাপন করেন নাই । জগৎশেঠের বাড়ীতে 'সফলকাম চক্রান্তকারীদের মিলন