পাতা:ক্লাইব চরিত - সত্যচরণ শাস্ত্রী.pdf/৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দুল ভরামের চলৎশক্তি । b-a তিনি অন্যথা করেন তাহ হইলে সে দোষ তাহার উপর পতিত হইবে । “আমাদের যিনি শক্র বা মিত্র,তিনি নবাবেরও শত্রু ও মিত্র । সেইরূপ নবাবের শক্র মিত্র আমাদেরও শত্রু মিত্র রূপে পরিগণিত হন। আমি আপনাকে বলিতেছি যে, ফরাসীরা আমাদের দারুণ শক্র । আমি তাহাদিগের ধ্বংস সাধন করিব। আমি বড়ই ভাবিত, আমার সহিত যদি আপনার যুদ্ধ হয় তাহ হইলে এক পক্ষের সৰ্ব্বনাশ হইবে। কোন পক্ষ তাহা ভগবানই জানেন । এখন আপনি আমার মনের ভাব বুঝুন ।” এই পত্রে দুলভরামের চলৎশক্তি চলিয়া গেল । তিনি আর অগ্রসর হইতে সাহসী হইলেন না। নিজের যুদ্ধ ব্যবসায়ের কথা তিনি ভুলিয়া গেলেন, পৈত্রিক প্রাণ রক্ষায় বিশেষরূপে মনোযোগী হইলেন । ৩০শে মার্চ সেনানী ওয়াটসন, চন্দননগর অর্পণ জন্য নৌকাযোগে একজন কৰ্ম্মচারীকে তথাকার বড় সাহেবের কাছে প্রেরণ করেন। ফরাসীরা কিরূপভাবে জাহাজ ডুবাইয়। রাখিয়াছে রাস্তার অবস্থাই বা কিরূপ তাহ পরীক্ষা করাই সম্ভবতঃ তাহার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল । বলা বাহুল্য চন্দননগরের বড়সাহেব উপেক্ষার সহিত ওয়াটসনের প্রস্তুবি প্রত্যাখ্যান করেন । তিনি বুঝিয়াছিলেন, ক্লাইব যখন এতদিনে তাহদের কিছুই করিতে সমর্থ হয় নাই, তখন গঙ্গার পথ অবরুদ্ধ থাকায় ওয়াটসন কখনই জাহাজ লইয়। র্তাহীদের কাছে উপস্থিত হইতে পরিবে না। এইরূপ সিদ্ধান্ত করিয়া রেনল চন্দননগর রক্ষা করিতে দৃঢ়ব্ৰত . হইয়াছিলেন। ইংরেজ কৰ্ম্মচারী, ওয়াটসনের কাছে প্রত্যাগমন