পাতা:গল্প-গ্রন্থাবলী (প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়) তৃতীয় খণ্ড.djvu/২৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাপকী বেটী 刹 శిలిపి বিল করিয়া দেনাপাওনা মিটাইয়া সককে নিজগৃহে লইয়া গেলেন। शिरनन व्णाझिम्लौ স্নেহ ও সমাদরে তাহাকে বকের মধ্যে গ্রহণ করিলেন। bाद्भ এক বৎসর কাটিয়া গিয়াছে। সষেমা বেথন স্কুলে পড়িতেছে, স্কুলের গাড়ীতে যাতায়াত করে। তবে এখন পাজার ছাটি-সারাদিন সে বাড়ীতেই থাকে। তার বড়মামা অবিনাশবাব, মাঝে একদিন মাত্র আসিয়া তাহার সহিত সাক্ষাৎ করিয়া গিয়াছিলেন। লাহিড়ী সাহেব সুষমার সমস্ত টাকা ব্যাকে জমা করিয়া তামেরই নামে হিসাব খোলাইয়া দিয়াছেন। তবে চেক-বহিখানি তিনি নিজের কাছে রাখেন। তাহার খরচপরের হিসাবে প্রতিমাসে একখানি করিয়া চেক তিনি তাহাকে দিয়া সহি করাইয়া লন। সষমা যে পনেরো হাজার টাকার মালিক, ইহা হাইকোট বার লাইব্রেরী ও উকীল লাইব্রেরীতে প্রচার হইতে দেরী লাগে নাই। সুষমার পুনরায় বিবাহ দিবার জন্যই যে তাহার পিতা মৃত্যুকালে কন্যাকে লাহিড়ী সাহেবের জিমা করিয়া দিয়া গিয়াছেন, তাহাও অনেকে শুনিয়াছে। কিছু দিন হইতে হাইকোটের দই চারিজন জানিয়র ব্যারিস্টার লাহিড়ী সাহেবের গহে যাতায়াত আরম্ভ করিয়াছে। কিন্তু সবেমার নিকট তাহারা কেহই আমল পায় না। লাহিড়ী সাহেব তাহদের মনোগত অভিপ্রায় বিলক্ষণ বুঝিতে পারেন, কিন্তু তিনিও উহাদিগকে উৎসাহ দেন না। কারণ তিনি জানেন এই যুবকগণের অবস্থা কাহারও তেমন ভাল নয় এবং সষমার টাকার গন্ধেই তাহাদের এই ঘন ঘন যাতায়াত। একদিন বিকালে স্বামীসীতে কথাবাত্ত হইতেছিল। সাষমা তখন তাহার সখী ললিতার গহে চা-পানের নিমন্ত্রণ রক্ষা করিতে গিয়াছে। সুষমা ও ললিতা এক ক্লাসে পড়ে। মিসেস লাহিড়ী বলিলেন, “হগিা, সর্ষেীর বিয়ের কি করছ ?” লাহিড়ী বলিলেন, “তেমন মনের মতন পাত্র কই ?” “চেন্টা করলে পাত্র কি আর মেলে না ?” “এ ত সাধারণ হিন্দ ঘরের মেয়ের বিয়ে নয় যে ঘটক লাগিয়ে পাত্র সিথর করব ? ' লভ ম্যারেজ (প্রেমের বিবাহ) ভিন্ন আর অন্য উপায় কি আছে ? কোনও ছেলের সঙ্গে যদি ওর ভালবাসা জন্মে যায়,—সে ছেলে নিজেই তখন বিয়ের প্রস্তাব করবে, তার গুণাগণে, তার সাংসারিক অবস্থা বিবেচনা করে আমরা যদি ভাল বুঝি, তখন মত করবো ।” “ঐ যে কুমদ চাটাজি আসে. ও ছেলেটি ত মন্দ নয়। সাষীর সঙ্গে ওর একটা মেলামেশায় দিনকতক একটা উৎসাহ দিলে হয় না ?” - “ও তো এই সবে বছর তিনেক হল ব্যারিস্টার হয়ে ফিরেছে। এখনও কিছই করতে পারেনি। বাড়ীর অবস্থা ভাল নয়। বিয়ে ক’রে সংসার চালাবে কোথা থেকে ?” “বাপের বিষয় সম্পত্তি কিছু পেয়েছিল বটে, কিন্তু শনি, তার বেশীর ভাগই উড়িয়েছে। পাঁড় মাতাল !" “আর ঐ যোগেশ মজুমদার ?” 願 - "ওর মা বাপ মহা হিন্দ। বিযয় আশয় বেশ আছে বটে; কিন্তু ছোঁড়াটা বড় অলস, কিছু করতে চায় না। বাপের কাছে মাসহারা পায়, তাইতে সাহেবিয়ানা চলে। ওর বাপের চেষ্টা, খাটী হিন্দ মতে ওর বিয়ে দেন। তাঁর অমতে যদি ও বিধবা বিবাহ করে, বাপ হয়ত রেগে মাসহারাটি বন্ধ করে দেবেন, তখন খাবে কি ?” শনিয়া লাহিড়ী গহিণী নীরবে বসিয়া রহিলেন। একট পরে লাহিড়ী জিজ্ঞাসা