পাতা:গল্প-গ্রন্থাবলী (প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়) তৃতীয় খণ্ড.djvu/৩৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

t टणम्न-काङ्नी ५ છ૦૧ দিব্যুর প্রস্টাফ করলেন। আমি রাজাজ্ঞা অমান্য করতে সাহসী হইলাম না। আরও প্তাবিলাম, কন্যার বিবাহ ত একদিন না একদিন কাহারও সঙ্গে দিতেই হইবে, তবে বজি শাহজাদাকে জামাতা পাওয়া যায়, তাহার অপেক্ষা সখের বিষয় আর কি আছে ? সতরাং সম্মত হইলাম। উভয় পক্ষে মহা ঘটা করিয়া বিবাহের আয়োজন হইতে লাগিল। ক্ৰমে শুভদিন উপস্থিত হইল, বিবাহ হইয়া গেল। 蠍 “বিবাহ শেষে, মহাসমারোহে, বর কন্যাকে শয্যাগহে লইয়া যাওয়া হইল। নৰ্ত্তাকীগণ নত্যগীত করিয়া, বর কন্যার মনোরঞ্জন করিতে লাগিল। ক্রমে রাত্রি অধিক হইলে তাহারা বিদায় লইল, বাদশাহজাদা শয়নগহের বার রন্ধ করিলেন। প্রাসাদের সব্বর নানাপ্রকার আমোদ প্রমোদ, সঙ্গীত নত্যাদি চলিতে লাগিল। কিছুক্ষণ পরে বর কন্যার শয্যাকক্ষ হইতে এক অতি ভয়ঙ্কর শব্দ শনা গেল। যেন একত্র শত শত কামান গজন করিতেছে। যেন শত শত বজ্রপাত একত্র সংঘটিত হইতেছে। রাজপ্রাসাদের সব্বত্র নত্যগীত বন্ধ হইল। রাজপরিবারের নিমন্ত্ৰিত অভাগতবন্দ, দাস দাসী, সকলেই মহা গ্রাসে নবদম্পতীর শয়নকক্ষের দিকে ছটিল। অনেক ডাকাডাকি, কেহই বার খালে না। অবশেষে বাদশাহের আজ্ঞায় বার সবলে ভগন করিয়া ফেলা হইল। সকলে ভিতরে প্রবেশ করিয়া দেখে, সব্বনাশ উপস্থিত হইয়াছে। বাদশাহজাদার মণ্ড দেহ হইতে বিচ্যুত, রক্তে শয্যা ভাসিয়া যাইতেছে। আমার কন্যা মচ্ছিত অবস্থায় পতিত। কেহ । কিছুই স্থির করিতে পারিল না। সে কক্ষে কোনওরপে অস্ত্রও ছিল না। অনেক কটে দাসীগণ আমার কন্যার মচ্ছে ভাঙ্গাইল। বাদশাহ পত্ৰশোকে অত্যন্ত ব্যাকুল হইয়া উঠিলেন। “পরদিন শোক কতকটা প্রশমতা প্রাপ্ত হইলে বাদশাহ ক্লোধে আদেশ করিলেন– এই কন্যা অতিশয় মন্দভাগিনী, সত্বর ইহার মস্তক কাটিয়া ফেল।’ আজ্ঞা পাইয়া, দাস দাসীগণ, সৈন্য সামন্ত ডাকিয়া, আমার কন্যাকে বধ করিবার আয়োজন করিল। রাজবাটীর বিস্তৃত প্রাঙ্গনে বধ্যভূমি নিমিত হইল। সশস্ত্র সৈন্যগণ চারিদিকে ঘিরিয়া দাঁড়াইল। বাদশাহ ও রাজকমচারী সকলে উপস্থিত হইলেন। আমার কন্যাকে বধ করিবার জন্য জল্লাদ যখন প্রস্তুত হইতেছে তখন সহসা আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হইয়া ঘোরতর শব্দ হইতে লাগিল। দেখিতে দেখিতে ঝড় আসিল, অজস্র পরিমাণ প্রস্তর বটি হইতে লাগিল। বাদশাহ ও সৈন্য সামন্ত প্রভৃতি প্রস্তরাঘাতে জঙ্গজরিত হইয়া কে কোথায় পলায়ন করিল ঠিকানা নাই। কেবল আমার কন্যার গায়ে একখানি প্রস্তরও লাগিল না । "ক্রমে প্রস্তরপাত বন্ধ হইল, শব্দ থামিয়া গেল, মেঘ অপসত হইল, তখন বাদশাহ বলিলেন,–এই কন্যা ভূতগ্ৰস্ত, নাহলে এমন ভৌতিক কাণ্ড হইবে কেন ? ইহাকে কিছ আর বলিও না। রাজবাটী হইতে তাড়াইয়া দাও এবং ইহার পিতাকে বধ করিয়া, ইহাদের ঘরবাড়ী ভাঙ্গিয়া, সমস্ত ধন সম্পত্তি রাজসরকারে বাজেয়াপ্ত করিয়া লও। দ্রব্যাদি লুটিয়া লইল। আমার কন্যা রাজবাটী হইতে তাড়িত হইয়া একবসের অসিয়া আমার নিকট দড়িাইল। ক্রমে রাজসৈন্যগণ আমাকে হত্যা করিবার জন্য আমাকে জল্পাদের হতে দিল। এমন সময় পুনরায় আকাশ হইতে ভয়ঙ্কর গজন শনা গেল, অন্ধকার হইয়া প্রস্তরবষ্টি হইতে লাগিল। সৈন্যগণ কেহ মরিল, কাহারও মস্তক হস্ত, পদ ভন্ন হইল। তাহারা ভয়ে উদ্ধৰ বাসে পলায়ন করিল। আমার এবং কন্যার গায়ে কোনও প্রস্তর লাগিল না। “সেই অবধি ভীত হইয়া বাদশাহ আমার প্রতি আর কোনওরপে অত্যাচার করেন না। তবে আমার ধন সম্পত্তি সমস্ত যাওয়াতে আমি পথের ভিক্ষক হইয়া পড়িয়াছি। সামান্য ४ाकरैः कृल्लेौग्न बाँथिज्ञा कमानश् ८कान७ भटऊ छौवनयाद्या निथ्व“झ कब्रिप्छछि ।” f o/$è