পাতা:গল্প-গ্রন্থাবলী (প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়) তৃতীয় খণ্ড.djvu/৩৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

రిyళి গল্প-গ্রন্থাবলী ব্যবহারে আমি অত্যন্ত প্রীত হইয়াছি। যদি তোমার কোনও মনস্কামনা থাকে নিবেদন কর, আমি তাহা পণ করিব।” একথা শুনিয়া রাজকুমার বলিলেন—“প্ৰভু, যদি নিজন পাইতাম তবে মনকামনা নিবেদন করিতাম।” * ইহা শনিবামার বাদশাহ সম্ভাভঙ্গ করিষা রাজকুমারকে লইয়া বিশ্রাম কক্ষে প্রবেশ করিলেন। বসিয়া বলিলেন—“কি তোমার মনস্কামনা ?” রাজকুমার বলিলেন—“যাঁদ প্রাণদান দেন ত বলি।” বাদশাহ বলিলেন—“আচ্ছা, প্রাণদান দিতে স্বীকৃত হইলাম।” রাজকুমার তখন বলিলেন—“গল বা সনোবর, চে কন্দ 2" ইহা শনিবামাত্র বাদশাহ ক্ৰোধে কল্পিত হইতে লাগিলেন। বলিলেন—“রে দ্ব্বত্তে নরাধম, কি বলিব তোকে প্রাণদান দিয়াছি, নচেৎ এই মহত্তেই তোর মন্ডে দেহ হইতে বিচ্যুত করিতাম।” রাজকুমার কহিলেন—“প্রভু, আমাকে শুধ প্রাণদান দিবার প্রতিজ্ঞা করেন নাই। আমার বাসনা পণ করবেন বলিয়াও প্রতিশ্রত আছেন। এখন দনিয়ার বাদশাহ যদি কথা ঠিক না রাখেন, তবে সংসারে কে আর কাহাকে বিশ্বাস করিবে ?” একথা শুনিয়া বাদশাহ মোন হইয়া রহিলেন। আরও কিছু দিবস অতীত হইল। একদিন বাদশাহ পানোৎসবে রত হইলেন। রাজকুমারও সঙ্গে ছিলেন। যখন বাদশাহ পান করিয়া মত্ততার অবস্থায উপনীত হইলেন, তখন রাজপত্র একটি বীণা লইয়া তাহার ঝঙ্কারসহ কণ্ঠ মিলাইয়া অপব্ব সঙ্গীত আরম্ভ করলেন। সেই বীণাবাদন ও গীত শনিয়া বাদশাহ অত্যন্ত মোহিত হইয়া গেলেন এবং রাজকুমারকে বলিলেন—“অদ্য তুমি আমায় যে গীত শনাইলে, তাহাতে আমি অত্যন্ত প্রীত হইয়াছি। তুমি কি বখশিস চাও বল, আমি তাহাই দিব।” রাজকুমার তখন বলিলেন—“হে নপতিশ্রেষ্ঠ, আমার সেই প্রশ্নটি ছাড়া আর কিছ অভিলষিত নাই।” বাদশাহ তখন মত্ততার অবস্থায় বলিলেন—“যদি স্বীকার কর যে, সে প্রশ্নের উত্তর শুনিলে পর, তোমার মাথা আমি কাটিয়া লইব, তবে বলিতে পারি।” রাজকুমার সাবধানতা অবলম্বন করিয়া বলিলেন—“প্ৰভু যদি আমার কৌতুহল সম্পণেভাবে চরিতাথ করিতে পারেন, কোনও বিষয়ে ত্রটি না থাকে, তবে মাথা দিতে আমার আপত্তি নাই।” বাদশাহ তখন বলিলেন—“আচ্ছা, তবে অন্তঃপুরে চল । সেখানে সমস্ত বক্তান্ত তোমাকে বলিয়া, তোমার মাথাটি কটিয়া লইব।" এই বলিয়া রাজকুমারকে লইয়া বাদশাহ অন্তঃপরে প্রবেশ কারলেন। বাদশাহ হুকুম দিলেন—“কুকুরকে লইয়া আইস " কয়েকজন ভূত্য তখন একটি কুক্করকে আনিল। তাহার রত্নজড়িত গলাবন্ধ, সোনার শিকলে কুকুর বাঁধা ছিল। ভূতগণ তাহাকে আনিয়া একটি মখমলের গদীতে বসাইয়া দিল। কয়েকজন বদিী তখন একটি পরমা সন্দেরী সীলোককে আনিল। তাহার হাতে হাতকড়ি, পায়ে বেড়ি। কোমরে লোহার শিকল। একটি থালায় একজন হাবসীর কাটামণ্ড রাখা হইয়াছে। কয়েকটি পাত্র পণ করিয়া নানাবিধ সরস খাদ্য এবং একটি পেয়ালায় গোলাপের সরবৎ আনিয়া কুকুরের সম্মখে রাখিয়া দেওয়া হইল। কুকুর যাহা ইচ্ছা তাহা খাইল। তখন সেই উচ্ছিনষ্ট সেই সন্ত্রীলোকটির সমুখে রাখা হইল। সীলোকও ক্ষুধার যাতনার সেই উচ্ছিনষ্ট কিয়দংশ ভক্ষণ করিল। তখন বাদশাহ উঠিয়া, একটি লাঠি লইয়া, সেই কাটামন্ডের উপর সজোরে এক আঘাত করিলেন। আঘাতের চোটে সেই মণ্ড হইতে কয়েক বিন্দ রন্ত বাহির হইল। রক্ষিগণ বলপবেক সেই রক্ত স্মীলোকটিকে চাটাইয়া দিল।