পাতা:গীতবিতান.djvu/৩১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পূজা
২০৭

গভীর সঙ্গীত দ্যুলোকে ধ্বনিছে গম্ভীর পুলকে,
গগন-অঙ্গন-আলোকে উদার দীপদীপ্তিমা।
চিত্তমাঝে কোন্ যন্ত্রে কী গান মধুময় মন্ত্রে
বাজে রে অপরূপ তন্ত্রে, প্রেমের কোথা পরিসীমা॥

৫২৪

আমারে দিই তোমার হাতে
নূতন ক’রে নূতন প্রাতে॥
দিনে দিনেই ফুল যে ফোটে, তেমনি করেই ফুটে ওঠে
জীবন তোমার আঙিনাতে
নূতন ক’রে নূতন প্রাতে॥
বিচ্ছেদেরই ছন্দে লয়ে
মিলন ওঠে নবীন হয়ে।
আলো-অন্ধকারের তীরে হারায়ে পাই ফিরে ফিরে,
দেখা আমার তোমার সাথে
নূতন ক’রে নূতন প্রাতে॥

৫২৫

কে গো অন্তরতর সে!
আমার চেতনা আমার বেদনা তারি সুগভীর পরশে।
আঁখিতে আমার বুলায় মন্ত্র, বাজায় হৃদয়বীণার তন্ত্র,
কত আনন্দে জাগায় ছন্দ কত সুখে দুখে হরষে॥
সোনালি রুপালি সবুজে সুনীলে সে এমন মায়া কেমনে গাঁথিলে—
তারি সে আড়ালে চরণ বাড়ালে, ডুবালে সে সুধাসরসে।
কত দিন আসে, কত যুগ যায়, গোপনে গোপনে পরান ভুলায়,
নানা পরিচয়ে নানা নাম ল’য়ে নিতি নিতি রস বরষে॥

৫২৬

এই-যে তোমার প্রেম, ওগো হৃদয়হরণ,
এই-যে পাতায় আলো নাচে সোনার বরন॥