পাতা:গৃহদাহ - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্রয়োদশ পরিচ্ছেদ সমরেশ যখন জানাইল, সে মহিমের পত্রে বিবাহের সংবাদ পাইয়াই তাড়াতাড়ি চলিয়া আসিয়াছে, তখন কেদারবাব লক্ষ জায় চঞ্চল হইয়া উঠিলেন বটে, কিন্তু অচলার মখের ভাবে কিছই প্রকাশ পাইল না । সমরেশ বলিল, মহিমের বিবাহে আমি না এলেই তা নয়, নইলে আরও কিছদিন হাসপাতালে থেকে গেলেই ভাল হত । কেদারবাবা উৎকণ্ঠায় পরিপািণ হইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, হাসপাতালে কেন সারেশ, সে-রকম ত কিছ সমরেশ বলিল, আজ্ঞে না, সে-রকম কিছ নয়।--তবে, দেহটা ভাল ছিল না । কেদারবাব সস্থির হইয়া বলিলেন, ভগবানকে সেজন্য শতকোটি প্ৰণাম করি } অচলা যখন খবরের কাগজ থেকে তোমার অলৌকিক কাহিনী শোনালে সরেশ, তোমাকে বলব কি-আনন্দে, গবে আমার চোখ দিয়ে জল পড়তে লাগিল । মনে মনে বললাম, ঈশবর 1 তামি ধন্য যে-আমি এমন লোকেরাও বন্ধ ! বলিয়৷ দ'হাত জোড় করিয়া কপালে সপশ করিলেন। একটুখানি থামিয়া বলিলেন, কিন্তু তাও বলি বাবা, নিজের প্রাণ বারংবার এমন বিপদাপন্ন করাই কি উচিত ! একটা সামান্য প্রাণ বাঁচাতে গিয়ে এতবড় এবটা মহৎ প্রাণই। যদি চলে যেত, তাতে কি সংসারে ঢের বেশি ক্ষতি হ’ত না ? ক্ষতি আর কি হত । বলিয়া সরেশ সলঙ্গজভাবে মািখ ফিরাইতেই দেখিতে পাইল, অচলা নিনিমেষ-চক্ষে এতক্ষণ তাহারই মাখের পানে চাহিয়া ছিল- এখন দহ্মিন্ট আনত করিল। কেদারবাব বারংবার বলিতে লাগিলেন, এমন কথা মাখে আনাও উচিত নয় ; কারণ আপনার লোকেদের এতে যে কত বড় ব্যথা বকে বাজে, তার সীমা নেই । সমরেশ হাসিতে লাগিল, কহিল, আপনার লোক আমার ত কেউ নেই কেদারবাব । থাকবার মধ্যে আছেন শােধ পিসীমা,-আমি গেলে সংসারে তাঁরই যা-কিছ কািট হবে । তাহার মাখের হাসি সত্তেৰও তাহার কেহ নাই শনিয়া কেদারবাবার শিক্ষক চক্ষ, সজল হইয়া উঠিল, বলিলেন, শািন্ধ কি পিসীমাই দঃখ পাবেন সরেশ ? তা নয় বাবা, এ বড়োও বড় কম শোক পাবে না। তা সে যাক, অন্ততঃ আমি যে ক'ঢা দিন বেচে আছি, সে ক’টা দিন নিজের শরীরে একটু যত্ন রেখো সরেশ, এই আমার একান্ত অনরোধ । ঘড়িতে রাত্রি দশটা বাজিল। বাড়ি ফিরিবার উদ্যোগ করিয়া সরেশ হঠাৎ হাত BDDBD BDDD DuDBSDBDBBDBB BDDD LBBuB DBBSDB BDBDDBBBBS DDBBD DDD আমার ওখান থেকেই হবে, স্থির হয়েছে; কিন্তু সে ত পরশ । কাল রাত্রেও এই