পাতা:গৃহদাহ - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গোহদাহ ܠܠܬ যে দ্বারা দিয়া মহিম বাহির হইয়া গেল, সেই খোলা দরজার প্রতি নিনিমেষে। চাহিয়া সরেশ কাঠের মত শক্ত হইয়া বসিয়া রহিল । কিন্তু ভিতরে ভিতরে তাহার অযাচিত জবাবদিহির সমস্ত নিৰ্ম্মফলতা ব্রুদ্ধ অভিমানে তাহার সবঙ্গে হল ফুটাইয়া १९भन्न दीद्रgष्ठ व्श्राव्न । দই বন্ধর কথোপকথন দ্বারের অন্তরালে দাঁড়াইয়া অচলা কান পাতিয়া শনিতেছিল । মহিম কাপড় ছাড়িবার জন্য নিজের ঘরে ঢুকিবাবা অব্যবহিত পরেই সে কবাট ঠেলিয়া প্রবেশ করিল। মহিম মািখ তুলিয়া চাহিতেই অচলা স্বাভাবিক মন্তকণ্ঠে জিজ্ঞাসা করিল, আমার বাবা কি তোমার কাছে এমন কিছ গরতর অপরাধ করেছেন ? অকস্মাৎ এরুপ প্রশ্নের তাৎপর্য বঝিতে না পারিয়া মহিম জিজ্ঞাসমখে নীরব রহিল । অচলা পনরায় জিজ্ঞাসা করিল, আমার কথাটা বঝি বািকতে পারলে না ? মহিম কহিল, না, কথাগালো প্রিয় না হলেও সািপম্পট বটে ; কিন্তু তার অথ বোঝা কঠিন । অন্ততঃ আমার পক্ষে বটে । অচলা অন্তরের ক্ৰোধ যথাশক্তি দমন করিয়া জবাব দিল, এ-দটার কোনটাই তোমার কাছে কঠিন নয়, কিন্তু কঠিন হচ্ছে স্বীকার করা । সরেশ বাবকে যে কথা তুমি সবচ্ছন্দে জানিয়ে এলে, সেই কথাটাই আমাকে জানাবার বোধ করি তোমার সাহস হচ্ছে না ! কিন্তু আজ আমি তোমাকে সাপলিট করেই জিজ্ঞাসা করতে চাই, আমার বাবা কি তোমার কাছে এত তুচ্ছ হয়ে গেছেন যে, তাঁর সাংঘাতিক অসখের খবরটাতে তুমি কান দেওয়া আবশ্যক মনে কর না ? মহিম ঘাড় নাড়িয়া বলিল, খােবই করি । কিন্তু যেখানে সে আবশ্যক নেই, সেখানে আমাকে কি করতে বল ? অচলা কহিল, কোন খানে অবশ্যক নেই শনি ? মহিম ক্ষণকাল সালীর মাখের প্রতি নিঃশব্দে চাহিয়া থাকিয়া কঠোরকন্ঠে বলিয়া ফেলিল, যেমন এইমাত্র সরেশের ছিল না । আর যেমন এ নিয়ে তোমারও এতখানি ব্লগারগি করে আমার মাখ থেকে কড়া কথা টেনে বার করবার প্রয়োজন ছিল না । যাক, আর না । যার তলায় পকি আছে, তার জল ঘালিয়ে তোলা আমি বদ্ধির কােজ মনে করিনে। বলিয়া মহিম বাহির হইয়া যাইতেছিল, অচলা দ্রািতপদে সম্মখে আসিয়া পথ আটকাইয়া দাঁড়াইল । ক্ষণকাল পরে সে দাঁত দিয়া সজোরে অধির চাপিয়া রহিল, ঠিক যেন একটা আকস্মিক দুঃসহ আঘাতের মমন্তিক চীৎকার সে প্ৰাণপণে রদ্ধ করিতেছে মনে হইল । তারপরে কহিল, তোমার বাইরে কি বিশেষ জরুরী কোন কাজ আছে ? আিদ মিনিট অপেক্ষা করতে পারবে না ? মইিম কহিল, তা পারব ।