নেপচুন্
ইউরেনসের পরেই নেপ্চুন্ গ্রহ। ইহার পরে আর কোনো গ্রহ আছে কি না, আমাদের জানা নাই। কাজেই নেপ্চুন্ সূর্য্য-জগতের সীমায় আছে বলিতে হয়। সে যেন প্রহরীর মত সূর্য্যের রাজ্যের চারিদিকে পাহারা দিতেছে।
“নেপ্চুন্” এই নামটি শুনিয়াই বুঝিতেছ, আমাদের দেশের প্রাচীন জ্যোতিষীরা ইহার কথা জানিতেন না। জানা থাকিলে আমাদের প্রাচীন পুঁথিপত্রে ইহার একটা সংস্কৃত নাম লেখা থাকিত। নেপ্চুন্কে পঁচাত্তর বৎসর পূর্ব্বে ইয়ুরোপের জ্যোতিষীরা আবিষ্কার করিয়াছিলেন। কাজেই আমাদের হাজার দু’হাজার বৎসর পূর্ব্বেকার পুঁথিতে কেমন করিয়া ইহার নাম থাকিবে? যে-সব জ্যোতিষী পঁচাত্তর বৎসর পূর্ব্বে মারা গিয়াছেন, তাঁহারাও নেপ্চুনের কথা জানিতেন না।
ইউরেনস্ আবিষ্কারের যেমন একটি গল্প শুনিয়াছ, নেপ্চুনের আবিষ্কারের সেই-রকম আশ্চর্য্যজনক গল্প আছে। তোমরা রামায়ণ-মহাভারতের গল্পে অবশ্যই “আকাশবাণী” বা “ভবিষ্যদ্বাণীর” বিষয় পড়িয়াছ। মহাভারতের কোনো রাজা যুদ্ধে যাইতেছেন, হয় ত আকাশবাণী হইল,—“মহারাজ, যুদ্ধে যাইবেন না, বিপদ আছে।” রাজা ভবিষ্যদ্বাণী শুনিয়া যুদ্ধে যাওয়া বন্ধ করিলেন। এ সব ভবিষ্যদ্বাণী নকি দেবতারা করিতেন, কিম্বা খুব গুণী লোকেরা গণনা করিয়া বলিতেন। নেপ্চুন্ গ্রহটিকে জ্যোতিষীরা ভবিষ্যদ্বাণীর দ্বারাই খুঁজিয়া