পাতা:চিঠিপত্র (ঊনবিংশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

‘রাজহংস প্রভূত প্রশংসিত হয়। কিন্তু সজনীকান্তের কাছে এই সকল প্রশংসার কোনোটিই রবীন্দ্রনাথের সেই “তোকে গোপনে বলি, রাজহংস বইখানি ভালো হয়েছে’র বর্ম ভেদ করে তার মর্মে প্রকাশ করতে পারে নি। (আত্মস্মৃতি’, পৃ. ৪৬৫) চ, কাব্য-পরিচয়—রবীন্দ্রনাথ ও সজনীকান্ত ১৯৩৮, ১৩ জুন রবীন্দ্রনাথের সম্পাদনায় বাংলা-কাব্য পরিচয়' শীর্ষক বাংলা কবিতার একটি সংকলন গ্রন্থ প্রকাশিত হয়। কবিতার প্রাথমিক নির্বাচনের দায়িত্বে ছিলেন, বিশ্বভারতীর গ্রন্থপ্রকাশ বিভাগের তৎকালীন কর্মকর্তা কিশোরীমোহন সাঁতরা ও হিরণকুমার সানাল। তাদের সহকর্মীরূপে নিযুক্ত ছিলেন কাননবিহারী মুখোপাধ্যায়। ১৯৩৭ সালে কবিতা সংগ্রহ ও নির্বাচনের কাজ হয়। এবং ১৯৩৮ সালে গ্রন্থটির মুদ্রণকার্য শুরু হয় ও জুনের মাঝামাঝি সংকলনখনি প্রকাশিত হয়। এই সংকলনের ভূমিকা লিখেছিলেন রবীন্দ্রনাথ স্বয়ং এবং “নন্দগোপাল সেনগুপ্ত’ লিখেছিলেন পরিশিষ্ট। এই কাব্য-সংকলনের প্রাথমিক স্তরে রবীন্দ্রনাথের উৎসাহ ও উদ্দীপনা ছিল প্রভূত। প্রাথমিক নির্বাচনের পর কবি কবিতাগুলি সম্বন্ধে তার চূড়ান্ত মতামত দিতেন। আদিযুগের কবিদের নিয়ে কোনো অশান্তি না হলেও আধুনিক কালের কবিদের নিয়ে শুরু হয় অশান্তি। রবীন্দ্রনাথের সম্পাদনায় যে সংকলন, সেখানে সকলের প্রতি সমান সুবিচার যেমন অনিবার্য তেমনি সংকলনের মানও হতে হবে উচ্চদরের। রবীন্দ্রনাথের দুর্ভাবনার অন্ত ছিল না। পরিশিষ্ট লিখেছিলেন নন্দগোপাল সেনগুপ্ত, কবি সম্পাদকীয় কাটছাট করে তাকে মুদ্রণযোগ্য করেছিলেন। এ প্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথ নন্দগোপাল সেনগুপ্তকে একটি চিঠিতে লিখেছেন—“হেমচন্দ্র ও বৈষ্ণব কবি সম্বন্ধে কাব্য > २ २