পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ૨ ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯২৯ હૈં কল্যাণীয়েযু বিদ্যালয়ের শিথিলগ্রন্থিগুলিকে আঁট করে তোলবার মুখেই আমাকে চলে আসতে হল তাই মন উদ্বিগ্ন হয়ে আছে। ভালো করে যখন ভেবে দেখি তখন বুঝতে পারি যে আমাদের যা সামর্থ্য আছে তার মধ্যেই নিজের কাজকে যথাসম্ভব সুসম্পন্ন করাই সঙ্গত। কোনোদিন এত বেশি সম্পদ আমাদের জুটবে না যখন বলতে পারব, বাস, আর দরকার নেই। আজ কুড়ি বছর পূৰ্ব্বে যখন হাতে কিছুই ছিল না তখন মনে হত বছরে যদি তু তিন হাজার পাই তাহলেই আর ভাবনা থাকে না। আজ বছরে বারো হাজার টাকা খরচ করেও মনে বুঝচি অভাব আগেকার চেয়ে বেশি বই কম নয়। বস্তুত অর্থলাভের দ্বারা দৈন্ত কখনই ঘোচে না । কাব্য বা সঙ্গীত বা চিত্রের মতোই কৰ্ম্মেরও একটা art আছে। সম্পূর্ণতার দ্বারাই তার দৈন্ত ঘোচে । উপকরণ বৃদ্ধির দ্বারা কোনোদিন দৈন্ত ঘোচেনা, উপকরণের সামঞ্জস্য দ্বারাই সেটা সম্ভব । যা আমার হাতে আছে সেইটেকেই সুঘটিত করতে পারলে সে স্থায়ী মূল্য পায়, তাকে তার আপন সীমার চেয়ে বড়ো করতে গেলেই সে সুষম হারায় । আমার কাজের সেই কুড়িবছর আগেকার সুকুমার মূৰ্ত্তিটি যখন মনে পড়ে তখন আমার অন্তরের থেকে দীর্ঘনিশ্বাস ওঠে। তবু এ কথাও স্বীকার Ե o