পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্দশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ե Տ ৫ মার্চ ১৯২০ কল্যাণীয়েষ্ণু # গল্প লেখবার মত মেজাজও নেই সময়ও নেই। মনে হয় ও পাঠ উঠে গেছে— এখন ইচ্ছা করলেও আর লিখতে পারব না। তবে এক কাজ করতে পারি। আমার কথিকার ছোট ছোট গল্প— সে নিতান্তই গল্পস্বল্প— তু চারটে দিতে পারি। কিন্তু যারা ক্ষুধার খাওয়া চায় তাদের পেট ভরবে না, ওতে বস্তু অংশ নেই— যারা কিঞ্চিৎ রসগ্রহণ করে খুসি থাকতে চায় তাদের ওতে একটুখানি তৃপ্তি দিতে পারে । তুমি যদি নিজে গল্প লিখতে চাও আমি বরঞ্চ ভেবে চিন্তে প্লট দিতে পারি কিন্তু আজকাল তাও আমার মাথায় সহজে আসে না । বোধ হচ্চে আমার মানসিক উন্নতি হচ্চে— আমি সাহিত্যে গল্পের ক্লাস থেকে হয় ত বা লোকশিক্ষার ক্লাসে উত্তীর্ণ হব-হব করচি। তাহলে মরবার পূর্বে আমার স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপনের জোগাড় করে যেতে পারব। কিন্তু তাতে মস্ত একটা ভয়ের কথা এই যে, পুণ্যফলে হয় ত বাংলা দেশে অধ্যাপকরপে আমার পুনর্জন্ম ঘটবে— সেইটে এড়াতে চাই । ইতি ২২ ফাল্গুন ১৩২৬ তোমাদের শ্রীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর و ه