পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্দশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাণমন হরণ করল ।... সেই দিন থেকে রবীন্দ্রনাথের কাব্যগ্রন্থ অামার জীবনের আনন্দ বন্ধু শিক্ষক গুরু সহচর হয়ে আছে।’ মধ্যবয়সীদের মধ্যে রবীন্দ্রবিরোধিতা অার একাংশ তরুণদের দলে রবীন্দ্রপ্রাণিত রচনাচর্চার দিন সে সময়ে । যতীন্দ্রমোহন বাগচী তরুণদের যে নামগোত্রহীন রবীন্দ্রচক্রের কথা বলেছেন চারুচন্দ্র স্বাভাবিকভাবেই তার অংশী হয়ে পড়েন । যতীন্দ্রমোহন বলেছেন এ-দের মধ্যে সত্যেন্দ্রনাথ দত্তকে তিনি পরিচয় করিয়ে দেন রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে। ১ চারুচন্দ্র বলেছেন সত্যেন্দ্রনাথের সঙ্গে তাকে ও পরিচিত করে দিয়েছিলেন যতীন্দ্রমোহন ১৯০৩ সালের কিছু অাগে । রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে চারুচন্দ্রের আকস্মিক পরিচয় হয়ে যায় তার আগেই, চারুচন্দ্রের বিবৃতি অনুযায়ী কর্ণওয়ালিস স্ট্রীটে মজুমদার লাইব্রেরির এক সান্ধ্য মজলিশে ( সম্ভবত আলোচনাসমিতির বৈঠকে ) ১৭ ডিসেম্বর ১৯• ১ তারিখে, সঙ্গীত সমাজে ‘বিসর্জন অভিনয়ের পর দিন। সেখানে ভূমিকা সহকারে পতিতা’ কবিতাটি পড়ার পর তার অপর একটি কবিতা সম্বন্ধে চারুচন্দ্রের অভিমত তিনি গ্রাহ করেছিলেন । এর পরে-পরেই ভারতী এবং নব্য প্রকাশিত বঙ্গদর্শনে চারুচন্দ্রের রচনা প্রকাশিত হয় এবং ভারতী সম্পাদন কাজে সরলা দেবীকে তিনি সাহায্য করতে থাকেন। এই সময়কার ভারতীর সুসম্পাদনার জন্য চারুচন্দ্রের শ্রমের কথা সরলা দেবী একটি চিঠিতে স্বীকার করেছেন। চারুচন্দ্রের পুত্র প্রেমোৎপল লিখেছেন, এই সময়ে স্বর্ণকুমারী দেবী চারুচন্দ্রকে একটি সাইকেল উপহার দিয়েছিলেন, হয়তো এই তার উপলক্ষ । ভারতীর সম্পাদন সহায়তায় চারুচন্দ্র বৎসরাধিককাল সংস্থষ্ট ছিলেন । এই বইয়ের দ্বিতীয় চিঠির সূত্রাতুযায়ী ১১ মাঘ ১৩১০ ( ২৫ জানুয়ারি بكيبكي تمامي ১ "রবীন্দ্রনাথ ও যুগসাহিত্য’ ১৩৫৪ পৃ ১৬ । চারুচন্দ্র অবশ্য লিখেছেন ১৩১৩য় "বেণু ও বীণা’ প্রকাশ কালেও রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে সত্যেন্দ্রনাথের পরিচয় ছিল না । জ, সত্যেন্দ্র-পরিচয়”। প্রবাসী, শ্রাবণ ১৩২৯ পৃ ৮৪ ৷ vo e b