পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্দশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করেছেন, রবীন্দ্রনাথের পঞ্চাশ বছর পূর্তির সে কবি-সংবর্ধনার (টাউন হল ১৪ মাঘ ১৩১৮ ) মুখ্য চার বা পাচজন উদ্যোক্তার চারুচন্দ্র একজম। সে সময় চৌরঙ্গির হপসিং কোম্পানির তোলা 'সপ্তাশ্ববাহিত সুর্যেরও এক রশ্মি চারুচন্দ্র । রবীন্দ্রবিদ্বিষ্টদের নিরস্ত করতেও সতত সক্রিয় ছিলেন এ“রা। ১৩৩৪এ চারুচন্দ্র লিখেছেন, ‘আমি এই কর্ম ক’রে বহুকাল থেকে বহু লোকের বিরক্তিভাজন হয়েছি ; দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের প্রতিবাদ প্রথম আমিই প্রবাসীতে র্তার “আলেখ্য” বই সমালোচনা প্রসঙ্গে করি...’ । ১৭ মে ১৯১৩য় লগুনে টমাস কুকের কেয়ারে লেখা পত্র ৫৫য় রবীন্দ্রনাথ যে ‘তোমরা যখন দস্থ্যর আক্রমণে পড়েছ তখন আমার গাওঁীব তোলবার শক্তি ভগবান অপহরণ করচেন— জয়ী হবার গৌরব আর আমার সইবে না’ ব’লে লিখেছেন, ‘আনন্দবিদায় অভিনয় বা তা নিয়ে বিরোধী কাগজগুলির প্রবল সোরগোল তার অপরোক্ষ উপলক্ষ হওয়া সম্ভব। পত্রলেখকের জানার কথা নয়, চিঠি লেখার দিনেই সন্ন্যাস রোগে দ্বিজেন্দ্রলালের মৃত্যু হয়েছে। ইতিমধ্যে অজস্রধারা গান গদ্য কবিতা নাটকের পাণ্ডুলিপি বা প্রফ দেয়ামেয়ার সংযোগ উপযুপরি হয়ে উঠেছে ক্রমাগত। পুত্রকে পড়তে পাঠিয়েছেন চারুচন্দ্র শান্তিনিকেতনে, রবীন্দ্রনাথের লেখার নকল করতে, নিজের জন্য লেখা শুধরোতে, গল্পের প্লট চাইতে এসেছেন বারংবার – বোলপুরে, শিলাইদহে, একবার সহযাত্রী হয়ে গেছেন গয়া বুদ্ধগয়া বরাবর পাহাড় থেকে এলাহাবাদ । রবীন্দ্রনাথও তার অত্যন্ত যত্বে কৃত ‘জীবনস্মৃতি'র পাণ্ডুলিপিখানি তুলে দিয়েছেন চারুচন্দ্রের হাতেই, লিখেছেন, ‘তুমি চেয়েছ তাই পাঠাচ্ছি।' বানান নিয়ে ভাষা নিয়ে শব্দের যথার্থ প্রয়োগ নিয়ে বিশ্রদ্ধ আলোচনা করেছেন তার সঙ্গে । কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে কবিকঙ্কণ পড়াবার ভার পেয়ে বহু পণ্ডিত-বিদগ্ধের সাহায্য পরামর্শ সহকারে ব্যাপক প্রস্তুতি করেছেন চারুচন্দ্র পড়াবার, তার ব্যবহার্য চণ্ডীমঙ্গলের টেক্স্টুখানি ‘অমূল্য’ মস্তব্যে ভরিয়ে দিয়েছেন 4 מס\