পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্দশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চারুচন্দ্র ‘রবীন্দ্রনাথের জন্য উচ্চতম কবির সিংহাসন দাবি" করেছিলেন, কোন কোন লক্ষণে তিনি বিশ্বের উচ্চতম বা শ্রেষ্ঠ— তাই তার প্রবন্ধের বিষয়। এইভাবে তার প্রবন্ধের শুরু : ‘কিছুকাল হইতে বাংলার সাহিত্যসেবিগণ সবিস্ময়ে শুনিতেছেন যে বাংলার দুজন শ্রেষ্ঠ মনীষী— শ্ৰীযুক্ত ব্রজেন্দ্রকুমার [ নাথ ] লীল ও শ্ৰীযুক্ত বাড়িটা তঁহারই ছিল, কিন্তু তিনি দেবালয় নামক একটি প্রতিষ্ঠান স্থাপন উদ্দেশ্যে বাড়িটি দান করিয়াছিলেন। একতলায় দেবালয় গৃহ ছিল । সেই গৃহের একদিকে ছিল লাইব্রেরী এবং অ্যর একদিকে উপাসনা ও বক্তৃতাদির স্থান । । দেবালয়ে বিপিনচন্দ্র পালের বক্তৃতা, সুন্দরীমোহন দাসের নৌকাবিলাস প্রভৃতি কথকতা, New Thought প্রচারক আমেরিকান মহিলাদের বক্তৃতা ও পুস্তিক বিতরণ, মহারানী সুনীতি দেবীর কথকতা, হীরেন্দ্রনাথ দত্তের বক্তৃতা এবং বৈষ্ণব ভক্তদের পাঠ ও মালপোয়। বিতরণ মাঝে মাঝে হইত। অন্যান্য অনেক বক্তা, গায়ক ও কথকদের কথাও নিয়মিত হইত। দুইবার ইহার রবীন্দ্রনাথকেও আনিয়াছিলেন। ‘রামানন্দ ও অর্ধশতাব্দীর বাংলা পৃ ১৫২ ৷ দেবালয় সমিতির বিজ্ঞপ্তিতে লেখা হয়েছে—: দেবালয় সৰ্ব্বধৰ্ম্মসম্প্রদায়ের মিলন-মন্দির। দেবালয়ের সভা-সমিতিতে কথনও রাজনৈতিক বক্তৃতা ও আলোচনা হইবে না। দেবালয় হইতে দেবালয়’ নামে একখানি মাসিক পত্র প্রকাশিত হইয়া থাকে । দেশের সুপ্রসিদ্ধ সাহিত্যিকগণ ইহার নিয়মিত লেখক । দেবালয় কৰ্ম্মস্থান – ২১০/৩/২ কর্ণওয়ালিস স্ট্রীট, কলিকাতা । পাঠকগণ দেখিবেন দেবালয়ের একটু বিশেষত্ব আছে । স্যার গুরুদাস বন্দ্যোপাধ্যায়, সত্যেন্ত্রনাথ ঠাকুর, হীরেন্দ্রনাথ দত্ত, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও রায় যতীন্দ্রনাথ চৌধুরী প্রভৃতি স্বনামধন্য ব্যক্তিগণ ইহার পৃষ্ঠপোষক। প্রসঙ্গত, দেবালয় পত্রিকায় রবীন্দ্রনাথ অন্যতম লেখক ছিলেন । দেবালয়ের বক্তৃতাসভায় রবীন্দ্র বান্ধবদের অন্যতম ডর ডর. পিয়ার্সন চারুচন্দ্রের পরেই বক্তৃতা করেছেন। ইন্দুপ্রকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘কবি রবীন্দ্রনাথের ঋষিত্ব’ নামে রবীন্দ্রবিরোধীদের মোৎপাদনকারী পুস্তিকার রচনাটিও দেবালয়েরই এক অধিবেশনে পঠিত হয় । ○b a