পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্দশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৫৮

বিরাটু,জনতাময় সভা না করিয়া ইণ্ডিয়া সোসাইটি যে এই বাছা বাছা লোকদিগকে নিমন্ত্রণ করিয়া কবিসস্বৰ্দ্ধনার আয়োজন করিয়াছিলেন, ইহাতে র্তাহারা তাহদের স্ববুদ্ধির পরিচয় দিয়াছেন, এবং অনুষ্ঠানটিকে সৰ্ব্বাঙ্গমুন্দর করিয়া তুলিতে পারিয়াছেন। যে বৈঠক উপযুক্ত সমজ দারের দ্বারা পূর্ণ হয়, সেখানে যে উৎসবটি জমিয়া উঠে, হৃদয়ের ভাব-উৎস যেমন সহজে খুলিয়া যায়, এমন কেবল বাজে লোকের দলবৃদ্ধির দ্বারা হয় না। স্বভাবত উত্তেজনপ্রিয় ইংলণ্ডবাসী আপন হইতে যে এরূপ চিত্তবিভ্রাস্তকারী বারোয়ারি স্বষ্টি না করিয়া একটি রসিকজনসম্মিলনের মনোহর মধুচক্র রচিয়াছিলেন, সেজন্য র্তাহাদিগকে ধন্যবাদ না দিয়া থাকিতে পারা যায় না। ই হার পর কবির কাছে নানা স্থান হইতে ভক্তির অর্ঘ্য বহন করিয়া যেসকল পত্র আসিয়াছে তন্মধ্যে দুইজন স্ত্রী-কবির পত্রই শুনাইবার মত । একজন লিখিয়াছেন :– ‘যে দিন প্রথম বাইবেলের কয়েকটি অংশ পাঠ করিয়াছিলাম সেই দিনটি বাদে, আমার মনে পড়ে না যে গত রাত্রে যেমন অনুভব করিয়াছিলাম জীবনে অর কোন দিন সেরূপ অনুভব করিয়াছি কিনা ? অার একজন লিখিয়াছেন, “আপনার কবিতাগুলির যে ক বিত্ব হিসাবে একটি সম্পূর্ণতা এবং অখণ্ড সৌন্দৰ্য আছে মাত্র তা নয়— কিন্তু যে অতীন্দ্রিয় জিনিস বিদ্যুৎচমকের মত আসে, ষােহ। অনিশ্চয়তার বেদনায় অন্তরকে পীড়া দিতে থাকে – সেই তাহারি একটি চিরন্তন রূপ ইহাদের মধ্যে আমি পাইলাম। একজন লোক অারেকজনের চোখ দিয়া দেখিতে পারে কি না অামি জানি না বোধ হয় পারে না ; কিন্তু একজনের অস্তরের স্বদূঢ় প্রত্যয় নিশ্চয় আর gose;&#I fixifico Gioffo St. John of the Crossegg *আত্মার অন্ধকার রাত্রি’ নামক কবিতাটি ছাড়া আপনার কবিতার তুলনা খুঁজিয়া পাই না— কিন্তু আপনি একটি পরিপূর্ণ অদ্বৈত বোধে 88 o