পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্দশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাত দিনের মধ্যেই শরৎকুমারী ‘যৌতুক গল্পটি লিখিয়া ফেলেন। সম্ভবত রবীন্দ্রনাথ ইহা জানিতেন না; কারণ পরবর্তীকালে তিনি এই প্লটটি আবার চারু বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেন এবং তিনি চাদির জুতা গল্পটি লেখেন। গল্পটি চারুবাবুর ‘বরণডালা’ নামক পুস্তকে স্থান পাইয়াছে। । চারুচন্দ্রকে রবীন্দ্রনাথ অনেক গল্পের প্লট দিয়েছিলেন। তাঁর দু-একটি, যেমন ‘ম্রোতের ফুল’, ‘হেরফের উপন্যাসের কথা আমরা আগেই উল্লেখ করেছি। তার স্মৃতিকথায় লিখেছেন, এর । ‘ম্রোতের ফুল’ উপন্যাসের] পরেও আমি তার কাছে প্লট পেয়েছি।’ باراگاه রবীন্দ্রনাথের গল্পের কাঠামো নিয়ে তিনি লেখেন দুই তার উপন্যাস। এর পরে আমার হেরফের’ উপন্যাসের প্লট বোলপুরে পেয়েছিলাম। আর ধোকার টাটির প্লট তিনি আমাকে শিলং পাহাড় থেকে লিখে পাঠিয়েছিলেন...’ । গল্প, নষ্টচন্দ্র’ উপন্যাসের প্লট চারুচন্দ্রকে দিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ। দুই তারের ভূমিকাতে চারুচন্দ্র উল্লেখ করেছিলেন : এই বইয়ের প্রথম ও শেষ পরিচ্ছেদে বর্ণিত ঘটনার আভাস পূজনীয় কবিবর শ্ৰীযুক্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাশয় মুখে মুখে আমাকে বলিয়াছিলেন; কলঙ্ক অথচ চরিত্র মাহায্যের কথা চিত্ত করে দেখো। ইতি ৮ই চৈত্র ১৩৪৫ { মার্চ ২২, Sఫిలిసి | | মেহাকৃষ্ট বনফুল লিখেছেন, আমার ইচ্ছে ছিল এই প্লটটি নিয়ে আলাদা একটা বই লিখব। কিন্তু তা আর পেয়ে উঠিনি। এই প্লটের মুখ্য চরিত্রটিকে আমার নির্মেক’ উপন্যাসে স্থান দিয়েছিলাম। নির্মোকে'র অমর এই প্লট থেকে সৃষ্টি। প্র, বনফুল ; রবীন্দ্র-স্মৃতি' ১৯৭৮ ১ ভূমিকা, শরৎকুমারী চৌধুরাণীর রচনাবলী ১৩৫৭ ○ ?"