পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্দশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অকস্মাৎ দক্ষিণ পবনে বিকশিত হয়ে উঠেছিল— তারপরে সেটা মধুকরের গুঞ্জনগান না শুনেই কেবলমাত্র কীটের দংশনে বিমর্ষ হয়ে মাটিতে ঝরে পড়বে, তাতে কোনো ফল ধরবে না, এটা আমার পক্ষে ক্লেশকর । জিনিসটি যে রসাল জাতীয় সেট। আপনি বেশ করে প্রমাণ করেচেন। আপনি ওটাকে প্রদক্ষিণ করে ওর স্বাদগন্ধবর্ণ নানা দিক থেকে যাচাই করে দেখেচেন এই আনন্দের ইতিহাসটুকু কোনো এক মাসিক পত্রের সদ্যঃপাতী পত্রে পুষ্পরেণুর মত কিছুক্ষণের জন্যও সংলগ্ন হয়ে থাকু না । যদি চ এক মধুপের গুঞ্জনেই বসন্তের আসর জমে না, কিন্তু আমার পোড়া কপালে ফাল্গুনও জ্যৈষ্ঠের মত রুদ্রমূর্তি ধরে ওঠে ; অতএব কোনো একটা দুঃসাহসিক দক্ষিণ হাওয়ার একটু দাক্ষিণ্যও যদি পাই তবে সেইটুকুকেই সঞ্চয় করে নিয়ে এবারকার বসন্তলীলা চুকিয়ে যেতে চাই । —সবুজপত্রে আমার সম্বন্ধে আলোচনায় সঙ্কোচ বোধ করি – ভারতীতেও প্রায় তদ্রুপ । প্রবাসী আমার প্রতি প্রতিকূল নন, অতএব আমার কাব্যসমালোচন ওঁরই সভাপ্রান্তে আসন যদি পায় সেটা অশোভন হয় না । অতএব প্রবাসীর দরবারে অামি আমার দরখাস্ত পেশ করব । ইতি— এই প্রবন্ধটি যদি গ্রাহ হয় তবে চৈত্রেই যেন বাহির হয় । যদি গ্রাহ না হয় এবং চৈত্রেই যদি বাহির না হয় তবে মণিলালের হাতে দিতে বিলম্ব কোরো না । কারণ এক চৈত্রে ফাল্গুনী সবুজপত্রে বেরিয়েছিল, আর এক চৈত্রে যদি তার ব্যাখ্যা b>> وی : هد