পাতা:চিঠিপত্র (দ্বাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্থান নেই। এখানে যে ভাষা সে গ্রাম্যভাষা, এবং তার মধ্যে দিয়ে যে বার্তা দেওয়া যায় তা বিশ্বের বার্তা নয়— তাতে কলহ করা চলে এবং খবরের কাগজে প্রবন্ধ লেখা যায় । কোনো বড় সঙ্কল্প যখন মনের মধ্যে বহন করা যায় তখনি নিজের পরিবেষ্টনের যে অনেীদাৰ্য্য সেটা নিষ্ঠুরভাবে আঘাত করতে থাকে। এতদিন শাস্তিনিকেতনের স্থষ্টিকাৰ্য্য আমার একলার হাতেই ছিল - - এর দ্বারা মস্ত কোনো লোকহিত করচি সে কথা ভাবিও নি— কেবলমাত্র একলা মাঠের মধ্যে বসে অস্তরের ভাবনাকে বাহিরের সম্ভাবনার মধ্যে দাড় করাচ্ছিলেম । কিন্তু বিশ্বভারতী ত লিরিক জাতীয় কৰ্ম্ম নয়, এ হচ্চে এপিক জাতীয় । আমার দেশ যদি এ কাজ গ্রহণ না করে তবে আমার পক্ষে এ একটা বিষয় বোঝা হয়ে উঠবে । অামি কিন্তু বোঝা বইবার মজুরী করব বলে বিধাতার হুকুম পাইনি— আমাকে স্বাধীন থাকতে হবে । যুরোপে আমি এত বেশি আদর পেয়ে এসেচি, আমার দেশের কাছে সেইটেই আমার পক্ষে লাঞ্ছনার কারণ হয়ে উঠেচে । সবাই বলতে চায় যে, যে -হেতু আমি অস্তরে অস্তরে বিজাতীয় ভাবাপন্ন সেই জন্তেই বিদেশীর কাছে আমার সম্মান । যেন ভারতবর্ষের যে আলো সে কেবলমাত্র ভারতবর্ষের চক্ষুকেই দৃষ্টি দেয় অন্ত দেশের পক্ষে তা অন্ধকার— যেন ভারতবর্ষের ক্ষেতে যে-ফসল ফলে বিদেশের কাছে তা অল্পই নয়। অথচ এইসব অত্যুচ্চ স্বাজাতিকরাই, উড্রফ সাহেব যখন তন্ত্রশাস্ত্রের গুণগান করেন, তখন বলেন না, অতএব তন্ত্রশাস্ত্রে ভারতীয়তার অভাব আছে । સ્વ છr છે