চিঠিপত্র २२१ দেড় হাজার টাকা কেবল সুদই দিচ্চি—উটের পিঠে অনেক সয় কিন্তু তারো ত একটা শেষ খড় আছে—অথচ মেরুদণ্ডহিসাবে আমরা উটও নই, আর বোঝা যা চাপ চে তাকে খড় বলা চলে না। এমন অবস্থায় বিরাহিমপুরের সদর সেরেস্তার ভার কমাতে চাইলে অন্যায় হবেনা। সদরে একজন ইনস্পেক্টর বাড়াতে হবে কিন্তু তার মাইনে অপেক্ষাকৃত কম হবে। ইসমনবিশিকে ঝেড়ে দেখলে কমাবার উপায় পাওয়া যাবে। তুমি কলকাতায় থাকতে থাকতেই একাজটা সেরে নিতে পারলে ভাল হত—কিন্তু তখন অবস্থার শোচনীয়তাটা আমার এত স্পষ্ট জানা ছিলনা । জমাখরচের হিসেব কোনোকালেই আমার কাছে রমণীয় নয়—বিশেষত অবস্থা যখন সচ্ছল নয় তখন খরগোষের মত চোখ বুজে থাকতে ইচ্ছে করে। এটর্নি পলটু কর লিখন হাতে সশরীরে সম্মুখে উপস্থিত হওয়াতেই চোখ খুলতে হল...“ঋণং কৃত্ব ঘৃতং পিবেৎ” আমার হজম হয় না তাই কিছু ব্যস্ত হয়ে পড়েচি– অতএব তোমাকে এই পূজোর ছুটির সময়টাতেও গম্ভীরভাবে ভাবাতে চেষ্টা করচি। এ বছর বিরাহিমপুর থেকে মুনফা বেশি আশা করা চলবে না— আর কালীগ্রামে “শস্ত্যঞ্চ গৃহমাগতং” পৰ্য্যন্ত নিশ্চিন্ত হবার জো নেই । শ্রীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
পাতা:চিঠিপত্র (পঞ্চম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৩৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/b/b4/%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%A0%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0_%28%E0%A6%AA%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9A%E0%A6%AE_%E0%A6%96%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%A1%29-%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A7%80%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%A5_%E0%A6%A0%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%81%E0%A6%B0.pdf/page238-1024px-%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%A0%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0_%28%E0%A6%AA%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9A%E0%A6%AE_%E0%A6%96%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%A1%29-%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A7%80%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%A5_%E0%A6%A0%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%81%E0%A6%B0.pdf.jpg)