চিঠিপত্র ২৩৩ উপকার হয়েচে এই কথা যখন শুনতে পাই তখন সকল অভাবের দুঃখের উপর ঐ স্থখটাই বড় হয়ে ওঠে। বিরাহিমপুরে প্রজাহিতের এই একটিমাত্র কার্য্যে সফল হয়েচি। লজ্জা এই যে হাসপাতালের চাদ আদায় করে আজ পর্য্যন্ত তার একটি ইটও ভিতের উপর চড়েনি । আমাদের যা কিছু দেন হয়েচে তা যদি আমাদের জমিদারীর এই রকম কাজের জন্য হত আমি এক মুহূৰ্ত্তের জন্য শোক করতুম না— কেননা এই ঋণ অন্যদিকে এমনভাবে সেণ্ট-পাসেন্ট স্বদের উপরে শোধ হত যে হাওনোট লিখে আনন্দ করতুম । আমার ত সবচেয়ে তুঃখ হয় এই জন্ত্যে যে, প্রজাদের জন্যে লোকসান করবার পূর্ণ অধিকার আমার হাতে নেই তাহলে আমি শান্তিনিকেতন ছেড়ে ওদের মধ্যে গিয়ে বসতুম– মনেব সাধে বিষয় নষ্ট করতে করতে সুখে মরতুম। তাই অর্থ নষ্ট করবার যে সুবিধাটুকু এই জায়গায় তৈরি করতে পেরেচি তাই নিয়ে অন্তিমকাল পর্য্যন্ত কেটে যাবে— তার পরে যারা বিষয় ভোগ করচে তারা তার দায়ও ভোগ করবে, তাতে এই বিশ্বজগতের কি আসে যায়, আর, অামারি বা কি মাথাব্যথা । ইতি ১৯ কাৰ্ত্তিক ১৩২৪ শ্রীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সেই cuttingsথলো সুরেনকে পাঠিয়ে দিয়ে ।
পাতা:চিঠিপত্র (পঞ্চম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৪৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/b/b4/%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%A0%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0_%28%E0%A6%AA%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9A%E0%A6%AE_%E0%A6%96%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%A1%29-%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A7%80%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%A5_%E0%A6%A0%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%81%E0%A6%B0.pdf/page244-1024px-%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%A0%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0_%28%E0%A6%AA%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9A%E0%A6%AE_%E0%A6%96%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%A1%29-%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A7%80%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%A5_%E0%A6%A0%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%81%E0%A6%B0.pdf.jpg)