পাতা:ছিন্নপত্র-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-বিশ্বভারতী.pdf/৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মেন মে কাম অ্যাও, মেন মে গো, বাট আই গো-অন ফর এভার। প্রাচীনকালের বড়ো বড়ো দিঘিও এর চেয়ে ঢের বেশি গৌরবলাভ করেছে। এর থেকেই বেশ বোঝা যায়, একটা প্রাচীন বড়ো বংশ অনেক বিষয়ে হীন হলেও কেন এত সমাদর লাভ করে। তাদের উপরে যেন বহুকালের একটা সম্পদশ্রীর আভা থাকে। একজন সোনার ব্যাপারী হঠাৎ বড়োমানুষ হয়ে উঠলে অনেক সোনা পায়, কিন্তু সেই সোনার লাবণ্যটুকু শীঘ্ৰ পায় না। যা হোক, আর এক শো বৎসর পরে যখন এই তীরের গাছগুলো আরও অনেক বড়ো হয়ে উঠবে, তক্তকে সাদা মাইলস্টোনগুলো অনেকটা ক্ষয়ে গিয়ে শৈবালাচ্ছন্ন মান হয়ে আসবে, লকের উপরে খোদিত 1871 তারিখ যখন অনেক দূরবর্তী ব’লে মনে হবে, তখন যদি আমি আমার প্রপৌত্র-জন্ম লাভ করে এই খালের মধ্যে বোট নিয়ে আমাদের পাণ্ডুয়া জমিদারি তদন্ত করতে যেতে পারি তখন আমার মনের মধ্যে অনেকটা ভিন্নরকম ভাবোদয় হতে পারে সন্দেহ নেই। কিন্তু, হায় আমার প্রপৌত্র । তার ভাগ্যে কী আছে কে জানে। হয়তো একটা অজ্ঞাত অখ্যাত কেরানিগিরি। ঠাকুরবংশের একটা ছিন্ন টুকরো, বহু দূরে প্রক্ষিপ্ত হয়ে একটা মৃত উল্কাখণ্ডের মতো হয়তে জ্যোতিহীন নির্বাপিত। কিন্তু আমার উপস্থিত তুর্দশ এত আছে যে আমার প্রপৌত্রের জন্যে বিলাপ করবার কোনো দরকার নেই। চারটের সময় তারপুরে পৌছনো গেল। এইখানে আমাদের পালকি-যাত্রা আরম্ভ হল। মনে করলুম, ছ ক্রোশ পথ, সন্ধ্যা আটটার মধ্যেই আমাদের কুঠিতে পৌছতে পারব। মাঠের পর মাঠ, গ্রামের পর গ্রাম, মাইলের পর মাইল কেটে যাচ্ছে, ছ ক্রোশ পথ আর ফুরোয় না। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার সময় বেহারাদের জিজ্ঞাসা b”の