পাতা:ছুটির পড়া - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মুকুট ३€: আরাকানপতির সহিত শীঘ্রই যুদ্ধ হইবে। সেই যুদ্ধে গিয়া আমি পুরস্কার আনিব। মহারাজ, আদেশ করুন।” ইশা খাঁ ইন্দ্রকুমারের হাত ধরিয়া কঠোরস্বরে কহিলেন, “তুমি অাজ মহারাজের অপমান করিয়াছ । উহার তলোয়ার লইয়া ছুড়িয়া ফেলিয়াছ। ইহার সমুচিত শাস্তি আবশ্বক ৷” ইন্দ্রকুমার সবলে হাত ছাড়াইয়া লইয়া কহিলেন, “বৃদ্ধ, আমাকে ম্পর্শ করিয়ো না ।” বৃদ্ধ ইশা খাঁ সহসা বিষন্ন হইয়। ক্ষুব্ধস্বরে কহিলেন, “পুত্র, এ কী পুত্র! আমার পরে এই ব্যবহার! তুমি আজ আত্মবিশ্বত হইয়াছ, বৎস ।” ইন্দ্রকুমারের চোখে জল উথলিয়া উঠিল । তিনি কহিলেন, “সেনাপতি-সাহেব, আমাকে মাপ করো, আমি আজ যথার্থই আত্ম বিস্তুত হইয়াছি।” যুবরাজ স্নেহের স্বরে কহিলেন, “শাস্ত হও, ভাই— গৃহে ফিরিয়া চলো ।” ইন্দ্রকুমার পিতার পদধূলি লইয়া কহিলেন, “পিতা, অপরাধ মার্জন করুন।” গৃহে ফিরিবার সময় যুবরাজকে কহিলেন, “দাদা, আজ আমার যথার্থই পরাজয় হইয়াছে।” 曦 রাজধর যে কেমন করিয়া জিতিলেন তাহ কেহ বুঝিতে পারিলেন না । [ ক্রমশ কাজের লোক কে আজ প্রায় চারি শত বৎসর হইল পঞ্জাবে তলবন্দী গ্রামে কালু বলিয়৷ একজন ক্ষত্রিয় ব্যাবসা-বাণিজ্য করিয়া খাইতেন । র্তাহার এক ছেলে নানক । নানক কিন্তু নিতান্ত ছেলেমানুষ নহেন, তাহার বয়স