পাতা:ছুটির পড়া - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হ্যায়ধর্ম Ե Թ না। তিনি ভাবিলেন, রাজারা অাইন গড়িতে পারেন কিন্তু আইন ভাঙিতে পারেন না । কৃষকের সেই জাতাকল আজ পর্যন্ত সম্রাটের উদ্যানে রহিয়াছে । গুজরাটের রানীর সম্বন্ধে এইরূপ আর-একটি গল্প প্রচলিত আছে। বহু পূর্বের কথা। তখন গুজরাট সম্পূর্ণ স্বাধীন ছিল । রানীর নাম মীনল দেবী । তাহার রাজত্বকালে ধোলকা গ্রামে তিনি “মীনল তলাও’ নামে একটি পুষ্করিণী খনন করাইতেছিলেন । ঐ পুষ্করিণীর পূর্ব দিকে একটি তুষ্টপ্রকৃতি রমণীর বাসগৃহ ছিল। সেই গৃহ থাকাতে পুষ্করিণীর আয়তন-সামঞ্জস্তের ব্যাঘাত হইতেছিল। রানী অনেক অর্থ দিয়া সেই ঘর ক্রয় করিবার চেষ্টা করিয়াছিলেন । কিন্তু গৃহকত্রী মনে করিল, ‘পুষ্করিণী খনন করাইয়া রানী যেরূপ কীর্তিলাভ করিবেন, পুষ্করিণী খননের ব্যাঘাত করিয়া আমারও তেমনি একটা নাম থাকিয়া যাইবে ।’ এই বলিয়া সে গৃহ বিক্রয় করিতে অসম্মত হইল। রানী কিছুমাত্র বলপ্রয়োগ করিলেন না। গৃহ সেইখানেই রহিল। আজিও মীনল তলাওয়ের পূর্ব দিকের সীমা অসমান রহিয়াছে। সেই অবধি উক্ত প্রদেশে একটি প্রবাদ প্রচলিত হইয়াছে যে, “ন্যায়ধর্ম দেখিতে চাও তো মীনল তলাও যাও।” আলোক ও উত্তাপ আলোক— সূর্যেরই হউক বা অন্ত কোনো জ্বলন্ত বস্তুরই হউক— ঈথরের ঢেউরূপে এক স্থান হইতে অন্ত স্থানে প্রেরিত হয় । সূর্যকে পরিত্যাগ করিবার এবং আমাদের চক্ষে পৌছিবার মধ্যে আলোক ঈথরের ঢেউ আকারে অবস্থান করে। কিন্তু আলোক কী ? কী গুণের প্রভাবে সূর্য কিংবা অন্ত একটি জ্বলন্ত বস্তু আলোকের অাধার হয় ? কী গুণের প্রভাবে একটি জ্বলন্ত বস্তু ঈথরকে তরঙ্গিত করিতে