পাতা:ছোটদের মহাভারত-যোগীন্দ্রনাথ সরকার.pdf/২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আদি পৰ্ব্ব ૨ જ অৰ্জ্জুনের খেলা ঠিক শেষ হইয়াছে, এমন সময় ফটকের কাছে ভয়ঙ্কর একটা শব্দ হইল। সে এমন শব্দ যে সমস্ত সভ কঁপিয়া উঠিল । মনে হইল যেন বাজ পড়িয়াছে । কিন্তু উহ। বাজ নহে—কর্ণের হুঙ্কার । এই কর্ণের কথা তোমরা পূর্বে কিছু কিছু শুনিয়াছ । তিনি বড় যেমন তেমন বীর নহেন, তাভেদ্য কবচ ও কুণ্ডল লইয়াই তিনি জন্মগ্রহণ করেন । অৰ্জুনের প্রশংসা কি তাহার সহ্য হয় ! কর্ণ তাসিয়াই, অৰ্জ্জন যাই। যাহা করিয়াছিলেম, প্রায় সকল খেলাই দেখাইলেন । শেযে স্পৰ্দ্ধ করিয়া বলিলেন, “আমি তালুনের সঙ্গে যুদ্ধ করিতে আসিয়াছি।” দুর্য্যোধন এতক্ষণ মুখ ভার করিয়া বসিয়াছিলেন, এখন দর্ণকে পাইয় তাহার উৎসাহ কত । শেষে দুইজনে মিলিয়। এমন নীচভাবে পাণ্ডবদের কুৎস। করিতে লাগিলেন যে, রাগে অৰ্জ্জুনের চক্ষু জবাফুলের মত লাল হইয়া উঠিল । কি সৰ্ব্বনাশ, অর্জন ক্ষেপিলে কি আর রক্ষা আছে । তখন চারিদিকেই মহা কোলাহল ! এক দল অৰ্জ্জুনের পক্ষ লইল, আর এক দল কর্ণকে বাহব দিতে লাগিল. ভীস্ম, দ্রোণ প্রভৃতি খুবই ভয় পাইলেন । পাছে দুই পুত্র মারামারি করিয়া মরে, সেই ভয়ে কুন্তাদেবী অজ্ঞান হইয়া পড়িলেন । তার পর যুদ্ধ বাধে বাধে, এমন সময় কৃপাচাৰ্য্য কণকে ডাকিয়৷ বলিলেন, “বাপু হুে, তুমি যে ,রাজার ছেলের সঙ্গে Α