এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
৩৮
জগচ্ছবি।

অপরের চাটুবচন নিতান্ত চিত্তরঞ্জনীয় ও বিশ্বস্য হইয়া থাকে। চাটু চার আমাদের অন্তঃস্থিত আ! স্বাদরের আরাধনা আরম্ভ করে; এ দিকে আত্মাদর তাহার স্তবে এমনি প্রসন্ন হইয়। থাকেন, যে সে আমনি জ্ঞানের শাসনহইতে প্রস্থান করিয়া বহির্বৈরির সহিত মিলিত হইয় থাকে। একারণ যখন চাটু শরের জ্ঞানান্ধকারি কৌশল ও বিমুগ্ধকারি সম্মতিবাক্যদ্বারা আমাদের গরিমার পোষকতা করিয়া থাকে, তখন আমরা তাহদের মায়াতে বশীকৃত হইয়া তাহাদের উপর অনুগ্রহ বর্ষণ করিতে বিন্দুমাত্র ক্ৰেটি করি না।

 যদ্যপি সকল মনুষ্যকেই ইহা প্রতীত করাইতে পারা যায়, যে এই তোষামোদ-প্রীয়তা কত জঘন্য, নীচাশয়হইতে উৎপন্ন হইয়া, থাকে, তাছা হইলে রোধ করি যাহার এই রিপুর তৃপ্তি সম্পাদন করিয়া এক্ষণে ষেৰূপ সে বিষয়ে কৃতকার্য্য হইয়া থাকে, তাহার। সেইৰূপ হেয় হইতে পারে। আমরা ষে সকল গুণ বা শক্তির অধিকারী নহি সেই সকলের অধিপতি বলিয়া প্রকাশমান হইবার ইচ্ছা, অথবা বাস্তবিক অমর ষেৰূপ নহি সেইৰূপে প্রতীয়মান হুইব্লার একান্ত কামনাই কেবল আমাচুটুপ্রিয় হইবার এক মাত্র কারণ ; যেহেতু চাটুকু*কেবল অপরের গুণ ও চরিত্র আমাদের শরীর (না থাকিলেও) দর্শন করিয়া থাকে। আমি