এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
জগচ্ছবি।
৪৫

কেহ জানিতে পারবে না মনে করিয়া মনুষ্য গোপনভাবে পাপে নিমগ্ন হইবেন? এৰূপ অন্তঃপ্রবোধ সামান্য অন্ধতার ফল নহে। হা অন্ধ!আমাদের চক্ষুঃহইতেই তুমি নিজ কলুষময় চরিত্র লুক্কায়িত রাখিতে পার, কিন্তু সেই সৰ্ব্বদৃষ্টিমান; ও সৰ্ব্বাস্তুর্যামি জগৎপাতার চক্ষুর্গোচরহইতে অস্থর করিতে পার না;–ষিনি তোমার বচন ও ব্যবহার দ্বারা তোমার হৃদয়ের সাধুত নিৰূপণ করেন, তাহার বিশ্বাসকেই তুমি বুদ্ধি কৌশলে প্রস্তারিত করির তুষ্ঠীভূত রাখিতে পার, কিন্তু যিনি তোমার অন্তঃকরণের নিষ্কলঙ্ক ভাব নির্ণয় করিয়া তোমার বচন ও বহিকার্য্যের সততা বিচার করেন, নরক-রচিত কেঞ্চল কৌশলেই তাহার তীক্ষ অন্তদৃষ্টিকে প্রতারণা করিতে পার না। অন্ততঃ ইহা অপেক্ষ অধিকতম সন্তাপের বিষয় আর কি হইতে পারে যে, পাখির সম্পদ ও ধনবলের প্রাচুর্য্যবশতঃ লোক নিন্দায় কোন অপকার করিতে পারে না স্থির করিয়া মনুষ্য অসঙ্কু চিতচিত্তে কুকৰ্ম্মে হস্তার্পণ করিয়া দুরপমেয় কলঙ্ক অঙ্গে বিলেপন করিবেন? হা মোহান্ধ! আমি স্বীকার কার, তুমি পার্থিব সম্পদে অধিৰূঢ় হইয়t কোন মনুরোরই ভয় রাখ না; কিন্তু কৌস্তু আজি, মানে, সেই সৰ্ব্বগর্বের দমনকৰ্ত্ত বিশ্বশাস্তাকে ভয় কর না, তাহ বুঝিতে পারিতেছি না। ক্ষণ ভঙ্গুর মৃন্ময় দেহে এত সাহস ভূয়সী যন্ত্রণার নিমিত্ত।