পাতা:জয়তু নেতাজী.djvu/১৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৪২
জয়তু নেতাজী

 ১৩৪৪ সালে অর্থাৎ প্রায় নয় বৎসর পূর্ব্বে ঐ কথাগুলি মুদ্রিত হয়, অতএব উহাতে লেখক যে সুভাষচন্দ্রকে স্মরণ করেন নাই তাহা নিশ্চিত; আবার ঐ পুস্তকে তিনি কংগ্রেসের সমালোচনাও করেন নাই, কতকগুলি সাধারণ তত্ত্বের আলোচনা করিয়াছেন। কিন্তু কথাগুলি কি সত্য! ঐ ‘প্রাণধর্ম্মী মুক্ত পুরুষে’র কথাই ত’ আমরাও বলিতেছি। প্রাণ-প্রধান জনগণের ‘নেতা’ নয়—‘নেতাজী’ হইতে আর কে পারিয়াছে? কংগ্রেস জনগণের সহিত পরিচিত হইয়াছে বটে, কিন্তু সে প্রাণধর্ম্মী নয় বলিয়া সেই পরিচয় ব্যর্থ হইয়াছে।[১] সুভাষচন্দ্র যেন ইহাই আশঙ্কা করিয়া, আদর্শ-নেতার কি কি গুণ থাকা আবশ্যক, সে সম্বন্ধে একদা একটি প্রবন্ধ লিখিয়াছিলেন। আমি এই পুস্তকের পরিশিষ্টে তাহার একটি অনুবাদ সন্নিবিষ্ট করিয়াছি। তাহাতে দেখা যাইবে, সুভাষচন্দ্রও কেবল বুদ্ধিকে একমাত্র শক্তি বলিয়া স্বীকার করেন নাই—জনচিত্তের সহিত গভীরতর যোগ-রক্ষার কথা তিনিও বলিয়াছেন, ইহার জন্য যে instinct বা inuition আবশ্যক, তাহা প্রাণধর্ম্মেরই একটি প্রকৃষ্ট বৃত্তি, একরূপ আধ্যাত্মিক শক্তিও বলা যাইতে পারে। এই শক্তি যে মানুষের নাই সে জনগণের নেতৃত্ব করিতে পারে না—তাহার সেই নেতৃত্ব সভ্য ও কল্যাণকর হয় না। এই প্রবন্ধ অন্য কারণেও মূল্যবান,


  1. এই ব্যর্থতা এখন নানা উপায়ে, এমন কি, আইনের দ্বারাও চাপিয়া রাখা হইতেছে। জনগণ এখনও তাহা বুঝিতে পারিতেছে না। কেবল ক্রমেই হতবুদ্ধি হইয়া পড়িতেছে। কিন্তু ব্যর্থতা যে কত সত্য তাহা প্রকাশ হইয়া পড়িতে বিলম্ব নাই।