পাতা:জীবনচরিত.djvu/১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
গালিলিয়।

১৫৮৯ খৃঃ অব্দে,সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে উক্তশাস্ত্রের অধ্যাপকের পদে অধিরূঢ় হইলেন। তখন তিনি সেই অযথাভূত দর্শনশাস্ত্রের অযৌক্তিকতা সপ্রমাণ করিবার নিমিত্ত, প্রকৃতির নিয়ম সকল প্রদর্শন করাইতে আরম্ভ করিলেন। একদা, সমবেত বহুসংখ্যক দর্শক সমক্ষে, তত্রত্য প্রধান দেবালয়ের উপরিভাগে বারংবার পরীক্ষা করিয়া দেখাইলেন গুরুত্ব পতননিয়ামক নহে[১]। ইহাতে অরিষ্টটলের মতাবলম্বীরা তাহার এমন বিপক্ষ হইয়া উঠিলেন যে দুই বৎসর পরে তাঁহাকে অধ্যাপকের পদ পরিত্যাগ করিয়া পলাইতে হইল।

 এইরূপে পিসা নগর হইতে অপসারিত হইয়া গালি-

  1. অজ্ঞ লোকেরা বোধ করিয়া থাকে বস্তুর গুরুত্ব অর্থাৎ ভার আছে বলিয়া উহা ভূতলে পতিত হয়; আর যাহার গুরুত্ব যত অধিক তাহা তত শীঘ্র পতিত হয়। পূর্ব্ব‌কালে অরিষ্টটল প্রভৃতি অতি প্রধান ইয়ুরোপীয় পণ্ডিতেরা এই মত প্রতিপন্ন করিয়া গিয়াছিলেন; এবং আমাদিগের দেশের নৈয়ায়িকদিগেরও এই মত। কিন্তু ইহা ভ্রান্তিমূলক, প্রকৃতির নিয়মানুগত মহে। পৃথিবীর আকর্ষণী শক্তি আছে সেই শক্তি দ্বারা আকৃষ্ট হইয় বস্তু সকল ভূতলে পতিত হইয়া থাকে; বস্তুর ভারের গৌরব ও লাঘব অগ্র পশ্চাৎ পতিত হইবার নিয়ামক নহে। তবে যে গুরু বস্তু শীঘ্র ও লঘু বস্তু বিলম্বে পতিত হইতে দেখা যায় সে কেবল বায়ুর প্রতিবন্ধকতা প্রযুক্ত। পরীক্ষা দ্বারা স্থিরীকৃত হইয়াছে, নির্বাত স্থানে গুরু ও লঘু বস্তু যুগপৎ পরিত্যক্ত হইলে যুগপৎ ভূতলে পতিত হয