পাতা:জীবনচরিত.djvu/২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
গালিলিয়।
১৫

তাঁহার প্রতিপোষক, বন্ধু দ্বিতীয় কস্মো পরলোক যাত্রা করাতে, নিতান্ত নিঃসহায় হইয়াছিলেন। অতএব এই আকস্মিক বিপৎপাত তাঁহার পক্ষে অত্যন্ত ভয়ানক হইয়া উঠিল। বিপক্ষেরা যৎপরোনাস্তি উৎপীড়ন করাতে, ১৬৩৩ খৃঃ অব্দের শীতকালে, তাঁহাকে রোম নগরে গমন করিতে হইল। তথায় উপস্থিত হইবামাত্র, ধর্ম্মসভার অধ্যক্ষেরা তাঁহাকে কারাগারে নিক্ষিপ্ত করিলেন। কয়েক মাস তথায় অবস্থিতির পর, বিচারকর্ত্তা‌দিগের সম্মুখে আনীত হইলে, তাঁহারা এই দণ্ডবিধান করিলেন তোমাকে আমাদের সম্মুখে আঁঠু পাড়িয়া ও বাইবল স্পর্শ করিয়া কহিতে হইবেক আমি পৃথিবীর গতি প্রভৃতি যাহা যাহা প্রতিপন্ন করিয়াছি সে সমুদায় অস্বর্গ্য, অশ্রদ্ধেয়, ধর্ম্মবিদ্বিষ্ট, ভ্রান্তিমূলক। গালিলিয়, সেই বিষম সময়ে মনের দৃঢ়তা রক্ষা করিতে না পারিয়া, যথোক্ত প্রকারে পূর্ব্ব‌নির্দিষ্ট প্রতিজ্ঞাবাক্য উচ্চারণ করিলেন। কিন্তু গাত্রোত্থান করিবামাত্র, আন্তরিক দৃঢ় প্রত্যয়ের বিপরীত কর্ম্ম করিলাম এই ভাবিয়া মনোমধ্যে ঘৃণারোষসহকৃত যৎপরোনাস্তি অনুতাপ উপস্থিত হওয়াতে, পৃথিবীতে পদাঘাত করিয়া উচ্চৈঃস্বরে কহিলেন ইহা এখনও চলিতেছে। বিচারকর্ত্তা‌রা গালিলিয়ের নাস্তিক্য বুদ্ধির পুনঃ সঞ্চার দেখিয়া এই গুরুতর দণ্ড বিধান করিলেন তোমাকে যাবজ্জীবন কারাগারে থাকিতে হইবেক এবং তিন বৎসর পর্য্যন্ত প্রতি সপ্তাহে অনুতাপসূচক