পাতা:জীবনচরিত.djvu/৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।



সর আইজাক নিউটন।
২১

পাইলেন আলোক কাচের মধ্য দিয়া গমন করিয়া এ প্রকার ভঙ্গুর হইয়াছে যে, ভিত্তির উপর সপ্তবিধ বিভিন্ন বর্ণ প্রকাশ পাইয়াছে। অনন্তর অসাধারণ কৌশল পূর্ব্বক অশেষ প্রকারে পরীক্ষা করিয়া এই কয়েক মহোপকারক বিষয় নিৰ্দ্ধারিত করিলেন; আলোকপদার্থ কিরণাত্মক; ঐ সকল কিরণকে বিভক্ত করিয়া অণু করা যাইতে পারে; শুক্ল আলোকের প্রত্যেক কিরণে রক্ত, পীত, নীল, এই তিন মূলীভূত কিরণ আছে; এই ত্রিবিধ কিরণ অপেক্ষাকৃত ন্যূনাধিক ভঙ্গুর হইয়া থাকে। নিউটনের এই অসাধারণ অভিনব আবিষ্ক‌্র‌িয়াকে দৃষ্টিবিজ্ঞান শাস্ত্রের মূলসূত্র স্বরূপ গণনা করিতে হইবেক।

 ১৬৬৫ খৃঃ অব্দে, কেম্ব্র‌িজ নগরে অকস্মাৎ ঘোরতর মারী ভয় উপস্থিত হওয়াতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদায় ছাত্রকে স্থান ত্যাগ করিতে হইয়াছিল। নিউটনও ঐ সময়ে আত্মরক্ষার্থে আপন আলয়ে পলায়ন করিলেন। তথায় পুস্তকালয়ের অসদ্ভাব প্রযুক্ত ইচ্ছানুরূপ পুস্তক পাঠ করিতে পাইতেন না; এবং পণ্ডিতবর্গের অসন্নিধান প্রযুক্ত শাস্ত্রীয় আলাপেরও সুযোগ ছিল না। তথাপি, তিনি ঐ সময়ে গুরুত্বের নিয়ম অর্থাৎ বস্তুমাত্রের ভূতলাভিমুখে পাতপ্রবণতার বিষয় প্রথম প্রকাশ করিয়াছিলেন। উক্ত মহত্তর আবিষ্ক‌্র‌িয়া দ্বারা নিউটনের এই অনধ্যায় বৎসর সকল, তাঁহার জীবনের শ্লাঘ্যতম ভাগ ও বিজ্ঞানশাস্ত্রীয় ইতিবৃত্তেরও চিরস্মরণীয় ভাগ বলিয়া