পাতা:জীবনচরিত.djvu/৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪২
জীবনচরিত।

কন্যা ছিল। গ্রোশ্যস ১৬০৮ খৃঃ অব্দে ঐ কামিনীর পাণিগ্রহণ করেন। এই রমণী রমণীয় গুণগ্রাম দ্বারা গ্রোশ্যসের যোগ্য ছিলেন এবং গ্রোশ্যসের সহধর্ম্মিণী হওয়াতে তাঁহার গুণের সমুচিত সমাদর হইয়াছিল। কি সম্পত্তি, কি বিপত্তি, সকল সময়েই তাঁহারা পরস্পর অবিচলিত সদ্ভাবে ও যৎপরোনাস্তি প্রণয়ে কাল যাপন করিয়াছিলেন। কিঞ্চিৎ পরেই দৃষ্ট হইবেক নিগৃহীত স্বামীর ক্লেশশান্তি বিষয়ে ঐ পতিপ্রাণ রমণীর ঐকান্তিক প্রণয়ের কি পর্য্যন্ত উপযোগিতা হইয়াছিল।

 গ্রোশাস অত্যন্ত কুৎসিত সময়ে ভূমণ্ডলে আসিয়াছিলেন। ঐ কালে জনসমাজ, ধর্ম্ম ও দণ্ডনীতি বিষয়ক বিষম বিসংবাদ দ্বারা সাতিশয় বিসঙ্কুল ছিল। মনুষ্য মাত্রেই ধর্ম্মসংক্রান্ত বিবাদে উন্মত্ত এবং ভিন্ন ভিন্ন পক্ষের ঔদ্ধত্য ও কলহপ্রিয়তা দ্বারা সৌজন্য, দয়া ও দক্ষিণ্য একান্ত বিলুপ্ত হইয়াছিল। গ্রোশ্যস, আর্ম্মিনিয় সাম্প্রদারিক[১]ও সর্ব্বতন্ত্রপক্ষীয়[২]ছিলেন। তিনি

  1. খৃষ্টধর্মাবলম্বীদিগের মধ্যে আর্মিনিয়স্ নামে একব্যক্তি এক নূতন সম্প্রদায় প্রবর্ত্তিত করেন। প্রবর্ত্তকের নামানুসারে ইহার নাম আর্ম্মিনিয় সম্প্রদায় হইয়াছে অন্যান্য সম্প্রদায়ের লোকদিগের সহিত এই নূতন সম্প্রদায়ের অনুযায়ী লোকদিগের অত্যন্ত বিরোধ ছিল।
  2. যেখানে রাজা নাই সর্ব্বসাধারণ লোকের মতানুসারে যাবতীয় রাজকার্য্য নিৰ্বাহ হয় তাহাকে সর্ব্বতন্ত্র বলে। সর্ব্ব সর্ব্বসাধারণ; তন্ত্র রাজ্যচিন্তা।