পাতা:জীবনচরিত.djvu/৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
গ্রোশ্যস।
৪৩

স্বীয় ব্যবসায়িক কার্য্যোপলক্ষে ত্বরায় এমন বিবাদবাগুরাতে পতিত হইলেন যে তাহা হইতে মুক্ত হওয়া অত্যন্ত দুরূহ। তাঁহার তুল্যমতাবলম্বী পুর্ব্বসহায় বর্নিবেল্ট অভিদ্রোহাভিযোগে ধর্ম্মাধিকরণে নীত হইলে, তিনি স্বীয় লেখনী ও আধিপত্য দ্বারা তাঁহার যথোচিত সহায়তা করেন। কিন্তু তাঁহার সমুদায় প্রয়াস বিফল হইল। ১৬১৯ খৃঃ অব্দে বর্নিবেল্টের প্রাণ দণ্ড হইল এবং গ্রোশ্যস দক্ষিণ হলণ্ডের অন্তঃপাতী লোবিষ্টিনের দুর্গ মধ্যে যাবজ্জীবন কারানিরুদ্ধ হইলেন। এইরূপ দারুণ অবিচারের পর তাঁহার সর্বস্বও হৃত হইল।

 বিচারারম্ভের পূর্ব্বে গ্রোশ্যস কোন সংঘাতিক রোগে আক্রান্ত হইয়াছিলেন। তৎকালে তাঁহার সহধর্ম্মিণী তাঁহার সহিত সাক্ষাৎকার করিবার নিমিত্ত সাতিশয় উৎসুকা হইয়াও কোন ক্রমে তাঁহার নিকটে যাইতে পান নাই। কিন্তু তাঁহার দণ্ড বিধানের পর কারাধিবাসসহচরী হইবার প্রার্থনায় ব্যগ্রতা প্রদর্শন পুর্ব্বক আবেদন করিয়া তদ্বিষয়ে অনুমতি প্রাপ্ত হইলেন। গ্রোশ্যস তাঁহার এইরূপ অনির্ব্বচনীয় অনুরাগ দর্শনে মুগ্ধ ও প্রীত হইয়া এক স্বরচিত লাটিন কাব্যে তাঁহার ভূয়সী প্রশংসা লিখিয়াছেন এবং তাঁহার সন্নিধানাবস্থানকে কারাবাসক্লেশরূপ অন্ধতমসে সুর্য্যকরোদয় স্বরূপ বর্ণনা করিয়াছিলেন।

 সমুদয় হলণ্ডের লোকেরা গ্রোশ্যসের গ্রাসাচ্ছাদন