পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/১৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*কলকাতায় ঢের কণজ—'

  • জার্মান শিখছ—’ হারীত হেসে বললে, “সে তো রাতে ঘুমের আগে শেখা। সারণটা দিন— মুশকিল হয়েছে খোলাখুলিভাবে কিছু করবার নেই—কাউকে মন খুলে কোনো কথা বলবণর সাধ্য নেই। যে-কণজে হাত দিয়েছি সেটা মোটেই জনপ্রিয় নয় । উনিশশ বেয়াল্লিশে তখনকার সরকারের ঘর-বাড়ি উচ্ছেদ করে লোকলস্কর ভাগিয়ে দিয়ে, টেলিগ্রাফ ছি*ড়ে, রেল লাইন উলটে-পালটে, সরকারের নানারকম দপ্তরখানা কানা করে দিয়ে যা করেছিলুম আমরা, আমাদের কাজে সমস্ত দেশটারই তো প্রায় সমর্থন পেয়েছিলুম, কত উৎসাহ দিয়েছিলে তুমি । বাবণও বিষ নজরে দেখেন নি ; উপর-উপর দেখে কিছু বোঝা যেত না তার, কিন্তু তবুও উপলব্ধি করে বুঝেছিলুম মোটামুটি সায় আছে বাবার ; মা তো নিজেকে ঢেলেই দিয়েছিলেন’—বলতে-বলতে থেমে গেল হরীত—“হ্যা সবাই সেদিন আগমণদের পিছনে দাড়িয়েছিল । কিন্তু এখন যা করতে চাচ্ছি তা তো উনিশশ বেয়াল্লিশের পরিণতি নয়, এ একেবারেই নতুন জিনিস, কারুরই উৎসাহ নির্দেশ নেই।’
  • না আগমণরও নেই।’
  • কেন ?" ‘জওহরলাল খুব বিপন্ন মানুষ । শক্তিশালী বড় মানুষ, কিন্তু তবুও তোমরা তাকে শক্তি দণ ও | তোমরা তাকে ক্ষমতাময় করে তোলো ।” কেমনভাবে বলে অৰ্চনা, কাই-ব) বলে—যা খুশি বলুক, তবুও তো নিরেস নয় । নিজের কী এক সংকল্পসাপেক্ষ প্রাণের নিয়মে স জীব—সেই সজীবতাটাকে

অনুভব করছিল হারীত । “আমার মনে হয় তিনি যা করবেন, চোখ বুজে অনুসরণ করতে হবে তাই । খুব ভুল করবেন না তিনি । দেশের এখন যে-রকম টলমল অবস্থা, ধ্বস্তাধস্তির সময় নেই ; জওহরলালের মতন নেতাকে চাদ পেড়ে দিতে বলে—ন-পারলে সাবড়ে দিতে গেলে যে কোটালের বর্ণন ডাক দেবে তাতে এত দিকচিহ্ন উড়ে যাবে, এত বেশি অন্ধকার এসে পড়বে যে আমাদের পিতারা—আমরা শেষ হয়ে যাব সব ; আমাদের সন্তানদের মাথা তুলে দাড়াতে কত বছর লাগবে কে জানে ' S8&