পাতা:জীবনী সংগ্রহ - গনেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/২০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SVete জীবনী-সংগ্ৰহ। নিবৃত্তি হইবে না। বাদশাহ তুলসীদাসকে কারাগার হইতে মুক্তিপ্রদান করিবামাত্রই সমস্ত হনুমান এবং বানর দিল্লীনগর পরিত্যাগ করে। তুলসীদাস কেবল সাধক ছিলেন না, তাহার রচনাশক্তিও অত্যুভূত ছিল। র্তাহার রচিত হিন্দি রামায়ণ ব্যতীত আরও অনেক গ্ৰন্থ আছে। ঐ সকল গ্রন্থের মধ্যে জানকীমঙ্গল, শঙ্কটমোচন, রামলতা, বৈরাগ্যসন্দীপনী, পাৰ্ব্বতীমঙ্গল, বিনয়-পত্রিকা, দোহাবলী প্রভৃতি পুস্তকগুলি অতি আদরের সামগ্ৰী । ১৬৮০ সংবতের শ্রাবণ মাসে শুক্ল পক্ষে ৬/কাশীধামে তুলসীদাসের দেহান্ত হয়। কাশীর প্রান্তসীমায় অসীঘাটের উপর বালার্ককুণ্ড নামে একটী কুণ্ড আছে। ঐ কুণ্ডের নিকট তুলসীদাসের আশ্রম অদ্যাবধি दéभनि आigछ । পূর্বে জীবনচরিত লেখার পদ্ধতি প্ৰচলন ছিল না। কালক্রমে ঐ অভাব পূরণ করিবার জন্য কেহ কেহ চেষ্টা করিয়াছিলেন এবং এখনও পৰ্য্যন্ত করিতেছেন। ঘনতমসাচ্ছন্ন জীবনীগুলির উদ্ধারকীৰ্ত্তাদিগের মধ্যে স্থানে স্থানে মতদ্বৈধ দৃষ্ট হয়। আমি এই স্থলে তাহার দুই একটা উদ্ধত কািরয়া দিলাম। 해 কিছু দিবস পূর্বে “সাহিত্য-সংহিতা” নামক একখানি পত্রিকায় তুলসীদাসের জীবনী প্ৰকাশিত হইয়াছিল। লেখক জীবনী লিখিবার পূর্বেই লিখিয়াছেন যে, তিনি হিন্দি ভাষাভিজ্ঞ পণ্ডিতগণের সংগৃহীত জীবনী অবলম্বন করিয়া লিখিয়াছেন। কিন্তু শ্ৰীযুক্ত কেদারনাথ ঘোষ মহাশয় যে সময় তুলসীদাস-রামায়ণ, কাশী-নিবাসী পণ্ডিতদিগের দ্বারায় তৰ্জমা করাইয়া বঙ্গভাষায় প্ৰকাশিত করিয়াছিলেন, সেই সময় তিনিও তুলসীদাসের জীবনী প্ৰকাশিত করেন। আমি তাঁহারই প্ৰকাশিত জীবনীর আভাষ লইয়া লিখিয়াছি। পাঠক পাঠিকার অবগতির জন্য আমি