পাতা:জীবনী সংগ্রহ - গনেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/২৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

९ठून् भन्मक । যথাসময়ে কালু বেদী নানকের উপনয়ন সংস্কার সম্পন্ন করেন। প্ৰথমে তিনি যজ্ঞোপবীত ধারণ করিতে স্বীকৃত হন নাই, কিন্তু পরে লোকাচার রক্ষা এবং মাতাপিতা ও আত্মীয় স্বজনগণের প্রতি সম্পাদনের জন্য তাহা গ্ৰহণ করিয়াছিলেন। নানক উপবীত ধারণকালে পুরোহিত মহাশয়কে জিজ্ঞাসা করিয়াছিলেন, “মহাশয়! এই সুত্র ধারণ করিলে কি হয় ? ~ যে ব্যক্তি কুকাৰ্য্যে রত থাকে, এই সূত্র কি তাহাকে নরক হইতে রক্ষা করিতে পরিবে ? যদি কার্পােসরূপ সন্তোষ-সুত্রে ইন্দ্ৰিয় নিগ্ৰহ দিয়া সত্য-দণ্ডী ধারণ করা যায়, তাহা হইলে মহাপাপ ক্ষয় হইতে পারে।” ছেলে-মুখে বুড়ো-কথা শুনিয়া, তাহার মাতাপিতা নিয়তই ক্ষুব্ধ ও ক্রোধান্বিত হইতেন । বাল্যকাল হইতে নানককে সংসারে অনাসক্ত দেখিয়া তাহার পিতা সংসারে প্রবৃত্তি জন্মাইবার জন্য র্তাহাকে নানাবিধ গৃহকৰ্ম্ম করিতে দিতেন; কিন্তু নানক সে বিষয়ে বড় মনোযোগ করিতেন না । এক দিবস। তঁহার পতা তঁহাকে ব্যবসায়ে নিযুক্ত করিবার জন্য একজন ভৃত্য ও কিছু টাকা সঙ্গে দিয়া লবণ ক্ৰয় করিতে পাঠাইয়া ছিলেন। পথে যাইতে যাইতে র্তাহারা দেখিতে পাইলেন, কয়েকজন সন্ন্যাসী ক্ষুধায় কষ্ট পাইতেছেন। নানক সন্ন্যাসীদিগকে ক্ষুৎপিপাসায় কাতর দেখিয়া দয়ার্দ্রহৃদয়ে ভূত্যের সহিত পরামর্শ করিতে লাগিলেন, “দেখ, আমরা লাভের জন্য ব্যবসায় করিতে যাইতেছি, কিন্তু সে লাভ ঐহিকের জন্য, দুইদিন পরে তাহা আর থাকিবে না। যাহা পরীকালের সম্পত্তি, তাহাই আমাদের উপাৰ্জন করা উচিত। যদি এই সন্ন্যাসীদিগের ক্ষুধা নিবৃত্তির জন্য আমাদের এই অর্থ প্ৰদান করি, তাহা হইলে আমাদের পরকালের অক্ষয় সম্পত্তি সঞ্চিত হইবে।” তিনি এইরূপ পরামর্শ করিয়া সেই বাণিজ্যের অর্থ সন্ন্যাসীদিগকে