পাতা:জীবনী সংগ্রহ - গনেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/২৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

९७ न्ब्फ् । a ovo SeeLMLLL LSLLSLL e eeLM LLSL eeM MeeLeL SLeL SLLLLL LLLLSLLLT eSLL LL LLLLL L LLLLL LL LeTe LLSLLeMMeLeLeA SLLLL LL LLL SL LSLe আমাদিগের দিকে বারংবার আসিতেছে ও প্রত্যাবৃত্ত হইতেছে, ঐ ব্যক্তি কে ? আর উহার উদেশ্যই বা কি, উহার নিকট গিয়া জানিয়া আইস।” মৰ্দনা গুরুর আজ্ঞা পাইয়া মনুষ্যরূপী ভৈরবের নিকট গমন করিয়া তাহাকে সকল বিষয় জিজ্ঞাসা করে । ভৈরব আপনার নাম ও আগমনের উদেশ্য জানাইয়া বলে, “আমি ভারতীর আজ্ঞায় তোমাদিগকে সংহার করিতে আসিয়াছি। কিন্তু আমি উপবন-সমীপে আসিবামাত্র আমার সর্বশরীর জ্বলিতে থাকে, সেই কারণে আমি প্ৰতিনিবৃত্ত হইয়া চলিয়া যাই। আমার গাত্রদাহ নিবারণ হইলে আমি পুনরায় এখানে আসি ও জ্বালা আরম্ভ হইলে আবার ফিরিয়া যাই, এজন্য আমি যাতায়াত করিতেছি।” ভৈরবের যাতায়াতের কারণ শ্ৰবণ করিয়া মর্দনা গুরুসন্নিধানে আসিয়া সমস্ত নিবেদন করে। নানক ইহা শুনিয়া ভৈরবকে সম্বোধন করিয়া বলেন, “ওহে ভৈরব ! তোমার বল নিৰ্বিরোধীর কাছে নহে, তুমি নিৰ্বিরোধীকে হত্যা করিতে। আসিয়াছ বলিয়া তোমার সর্বাঙ্গ জলিতেছে।” এই বলিয়া তাহাকে নানাবিধ উপদেশ প্ৰদান করেন । ভৈরব নানকের উপদেশ শ্রবণ করিয়া বিরোধভাবে পরিত্যাগ করে ও সেই সঙ্গে তাহার গাত্ৰদাহ প্রশমিত হয়। ভৈরব যে লগুড় লইয়া হত্যা করিতে আসিয়াছিল, তাহা ফেলিয়া দিয়া নানককে প্ৰণাম করিয়া প্ৰস্থান করে। ভৈরব চলিয়া যাইলে, মর্দনা সেই লগুড় আনিয়া গুরুকে দেখাইয়া বলে, “ভৈরব আমাদিগকে সংহার করিবার জন্য এই লগুড় আনিয়াছিল।” মর্দনার কথা শুনিয়া নানক, বলেন, “ভৈরব স্বেচ্ছায় আইসে নাই, সে এক জনের আদেশপালনের জন্য আসিয়াছিল, এক্ষণে তাহার জ্ঞানোদয় হইয়াছে।” এই কথা বলিয়া নানক সেই লগুড় স্বহস্তে মৃত্তিকায় প্রোথিত করেন। ঐ লগুড় সজীব হইয় তাহা হইতে পত্রোদগম হয় ও ক্ৰমে শাখোট বৃক্ষে পরিণত হয়। লোকে এই অলৌকিক ঘটনা দেখিয়া বিস্মিত হয়।