এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ডাকঘর
৪১
আসচে—রাতদিন একলাটি চলে আসচে; ক্ষেতের মধ্যে ঝিঁঝিঁ পোকা ডাক্চে-নদীর ধারে একটিও মানুষ নেই, কেবল কাদাখোঁচা ল্যাজ দুলিয়ে দুলিয়ে বেড়াচ্চে—আমি সমস্ত দেখতে পাচ্চি। যতই সে আসচে দেখচি, আমার বুকের ভিতরে ভারি খুসি হয়ে হয়ে উঠচে।
ঠাকুর্দ্দা
অমন নবীন চোখ ত আমার নেই তবু তোমার দেখার সঙ্গে সঙ্গে আমিও দেখতে পাচ্চি।
অমল
আচ্ছা ফকির, যাঁর ডাকঘর তুমি সেই রাজাকে জান?
ঠাকুর্দ্দা
জানি বই কি। আমি যে তার কাছে রোজ ভিক্ষা নিতে যাই।
অমল
সে ত বেশ! আমি ভাল হয়ে উঠলে আমিও তার কাছে ভিক্ষা নিতে যাব! পারব না যেতে?
ঠাকুর্দ্দা
বাবা, তোমার আর ভিক্ষার দরকার হবে না, তিনি তোমাকে যা দেবেন অমনিই দিয়ে দেবেন।
অমল
না, না, আমি তাঁর দরজার সামনে পথের ধারে দাড়িয়ে জয় হোক্ বলে ভিক্ষা চাইব—আমি খঞ্জনি বাজিয়ে নাচব—সে বেশ হবে না?