তাহা নহে। সোনা প্ৰস্তুত যে সব ফাঁকি, সে কথা জানিতে পারিলে রাজা ফাঁসি দিবেন, কি কি করিবেন, তাহা বলিতে পারা যায় না। সাক্ষণি (সাক্ষণি) দেশ অভিমুখে বটগার পলায়ন করিলেন। ক্ৰোধে অধীর হইয়া রাজা তাহাকে ধরিবার নিমিত্ত অশ্বারোহী সৈন্য প্রেরণ করিলেন। সাক্ষণি দেশের সীমায় উপস্থিত হইয়া বটগার সে দেশের অধিপতির নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করিলেন। সাক্ষণি দেশের অধিপতি তাহাকে রাজধানী ড্রেসডেন নগরে পাঠাইবার নিমিত্ত আদেশ করিলেন। ড্রেসডেন নগরে যাইবার নিমিত্ত বটগার যেই যাত্ৰা করিলেন, আর সেই সময় প্রশ্নশিয়া দেশের সৈন্য আসিয়া উপস্থিত হইল। যাহা হউক, তাহারা তাঁহাকে ধরিতে পারিল না। বিলাতে এখন কাৰ্ণেজি নামক একজন সাহেব আছেন। ইনি বাল্যকালে মজুরী করিয়া দিনপাত করিতেন। তাহার পর বড় হইয়া আমেরিকা মহাদেশে লীেহ হইতে ইস্পাত প্ৰস্তৃত করিয়া ইনি বিপুল সম্পত্তির অধীশ্বর হইয়াছেন। সেই সম্পত্তি হইতে পঁচাত্তর কোটি টাকা, অঙ্কে লিখিলে এইরূপ হয়,- ৭৫,০০,০০,০০০—দীন-দরিদ্রদিগের চিকিৎসার নিমিত্ত কোন হাসপাতালে তিনি দুই কোটি টাকা, দুঃখী ছাত্রদিগের বিদ্যাশিক্ষার নিমিত্ত কোন বিদ্যালয়ে এককোটি টাকা, বৃদ্ধ পঙ্গুদিগের ভরণপোষণের নিমিত্ত কোন অনাথাশ্রমে এককোটি টাকা, সাধারণের জ্ঞানলাভের নিমিত্ত কোন পুস্তকাগারে এককোটি টাকা, এইরূপ নানা স্থানে নানাপ্রকার সৎকার্য্যের তিনি অনুষ্ঠান করিতেছেন। কাৰ্ণেজির মত লোকের অর্থলাভের বাসনা পরিতৃপ্ত হইয়া থাকিবে। তা না হইলে অর্থ-লালসা-শূন্য লোক পৃথিবীতে অতি বিরল। অর্থলাভের লালসা চিরকাল হইতে চলিয়া আসিতেছে। আর এ লালসা সহজে কেহ মন হইতে দূর করিতে পারে না। দুই শত বৎসর পূৰ্ব্বে দেশের অধিপতি ছিলেন, তিনিই আবার পোলাও দেশের রাজা ছিলেন। রাজা হাইক্টেকি হয়, তাহারও ঘোরতর টাকার খাকতি ছিল। বিশেষতঃ এই সময়ে পোল্যাণ্ড শ্ৰুেষ্টবি ল। প্রবলবেগে প্ৰজ্বলিত ছিল। সেই বিদ্রোহানল নিৰ্ব্বাণ করিবার নিমিত্ত কৃষ্ণৰ প্রয়োজন হইয়াছিল। সুতরাং সাক্ষণাধিপতি যখন শুনিলেন যে, “সােনা-করা” ব্লেটগরি গ্রুশিয়া হইতে পলায়ন করিয়া, তাঁহার রাজ্যে আসিয়া আশ্রয় লইয়াছে, তখন আনন্দে তাঁহার মন প্ৰফুল্লিত হইল। তিনি মনে করিলেন যে, “আর ভাবনা নাই, এখন যত ইচ্ছা তত স্বর্ণ প্ৰস্তুত করাইব।” এইরূপ ভাবিয়া বটগারকে তিনি অতি সমাদরে রাজবাটীর নিকট বৃহৎ এক অট্টালিকায় স্থান প্রদান করিলেন, আর পঞ্চোপচারে তাহার সেবা করিবার নিমিত্ত রাজকৰ্ম্মচারী ও রাজভৃত্যদিগকে আদেশ করিলেন। নানারূপ সুখাদ্য ভোজনে ও বহুমূল্য পরিচ্ছদ পরিধানে বটগারের সেবা হইতে লাগিল বটে, কিন্তু সেই সঙ্গে চারিদিকে পাহারাও নিযুক্ত হইল। বাটীর বাহিরে পাহারা, বাটীর ভিতরে পাহারা, শয়নঘরে পাহারা, রাত্রিদিন রক্ষকগণ বটগারকে চক্ষুর আড় করে না। বটগার ভাবিলেন যে, যে বিপদের ভয়ে স্বদেশ হইতে পলায়ন করিলাম, এখানেও সেই বিপদ!! ইতিমধ্যে বিদ্রোহ দমনের নিমিত্ত সাক্ষণ-অধিপতিকে সহসা পোল্যাণ্ড দেশে গমন করিতে হইল। যাইবার পূৰ্ব্বে বটগারের সহিত কথাবাৰ্ত্ত কহিতে তাঁহার অবকাশ হয় নাই। সে জন্য পোল্যাণ্ড দেশে উপস্থিত হইয়াই তিনি বটগারকে এক পত্র লিখিলেন,- “আমার টাকার নিতান্ত প্রয়োজন হইয়াছে। সোনা না করিলে আর চলে না। অতএব কি করিয়া সোনা করিতে হয়, তাহা তুমি আমাকে বলিয়া দাও।” সেই সঙ্গে রাজকৰ্ম্মচারীদিগকেও রাজা আজ্ঞা করিলেন যে, “যতক্ষণ না বটগার আমার আদেশ প্রতিপালন করে, ততক্ষণ তাহাকে বিধিমতে উৎপীড়িত করিবে।” রাজকৰ্ম্মচারিগণ তাহাকে ভয়ঙ্কর যন্ত্রণা দিতে আরম্ভ করিল। systs ୩ୟ୍ଯ sNAls viði (SS BS! ro www.amarboi.com ro
পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/৫৪৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
![](http://upload.wikimedia.org/wikisource/bn/thumb/7/7e/%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%88%E0%A6%B2%E0%A7%8B%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%A5_%E0%A6%B0%E0%A6%9A%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%B9.djvu/page543-1024px-%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%88%E0%A6%B2%E0%A7%8B%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%A5_%E0%A6%B0%E0%A6%9A%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%B9.djvu.jpg)