পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

খানটা গিয়ে মনে পড়ল। অনেকদিন আগে সেই যে গিয়েছিলাম বাগান-গাঁয়ে রাখালী পিসিমার বাড়ী গিয়ে, ওদিকে কোদলার ধারে একটা পরোনো ভিটেতে—সেই কথা মনে পড়ল। ঠিক যেন সেই সস্থানট-এ স্থানটা ঠিক যেন বাংলাদেশ! বিহারে এতদিন পরে বাংলার সাদশ্য খাঁজে পেলাম। অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে রইলাম—কোন বিদেশে আছি—আজ আমার দেশে বহিস্পতিবারের হাট, পঞ্চাননতলা দিয়ে মনো শ্যামাচরণ তুমি বঝি এখন হাট থেকে এলে? আমার মায়ের হাতে পোঁতা সজনেগাছ-ভাঙা কলসী-হরি রায়ের বিষয় সে সব থেকে কতদরে বিদেশে ঘোড়া করে বেড়াচ্ছি—অজানা গ্রামের পথে পথে, অজানা ঘোটফলের ঝোপের ধারে ধারে—আমার কি সাজে। কলকাতার অফিসে বসে বন্ধ হাওয়ায় কাজ ? আমার জন্যে এই আকাশ ওই সােয্যাস্ত ওই নদী ওই মন্ত হাওয়া, স্বাধীনতা-অপব্ব অপরাহু! ডেসেম্বক বসে শািন্ধ লেখবার কাজ আমার নয়! ॥ २२८* भाष्', ````०२४ ॥ কাল বৈকালে পরাশরামপারে দিয়ারায় লবটলিয়ার এপারে খােব দাঙ্গা হয়ে গেল। দাঙ্গার হৈ হৈ শব্দ কাছারী থেকে শোনা যাচ্ছিল। নারায়ণকে ঘোড়া দিয়ে পাঠানো হ'ল। খাব ঘোড়া ছটিয়ে গিয়ে খবর দিলে-আজ সকালে আমি ও নট ঘোড়া ক’রে জঙ্গলের পথে ইসমাইলপত্র চলে এলাম। পাঁচটার সময় ঘাম থেকে উঠে চেয়ার নিয়ে বারান্দাটাতে বসলাম। দরে নীল পাহাড়টার দিকে চেয়ে মনে হ’ল, সন্দর ইছামতী-আমাদের গ্রাম -এই বৈশাখের সীগন্ধভরা প্রভাত, অপরাহু, সেই আমজাম-তলা, মাঠ, নদী- ঠাকুরমাদের বেলতলাটা বেলফলের গন্ধ-কতদিনের কত আনন্দ ! খব জ্যোৎস্না-বড় সন্দর লাগল। l ミbび* NT5° >sミb l পরশ গেল। রামনবমী। বসে বসে ভাবছিলাম। এই দাপরে এতক্ষণ পা, হুড়িয়ে বালির ওপর দিয়ে সব খেতে চলেছে। কারা? রাখাল রায়, হরিশ বাঁড়িয্যে, বাবা এর নন। তাঁদের পৌত্রের দলেরাই বেশী। সন্ধ্যার সময় বাদা ময়রার দোকান খলবেএই জ্যোৎস্নায়। জীবনটা একটা অবান্তর রপেকথার কাহিনীর মত মধর ও রহস্যময় ঠেকে। তারাভরা আকাশের দিকে চাইলে সেই চাঁপাপকুরের নিমন্ত্রণ খাওয়ার বাড়ী, আড়ংঘাটার ঠাকুরবাড়ীর ছাদ মনে হয়। সমাদয় আকাশ, তারাগালো অপব্ব রহস্যঘেরা মনে হয়। কাল গেল ‘১লা এপ্রিল”। সেই “১লা এপ্রিলের শান্তোক্তজবল উষালোকে” ছেলেবেলাকার কথা। কাল নাট, চ’লে গেল এখান থেকে। বড় পশ্চিমে বাতাসটা দিয়েছে। কাল। ৷৷ ২রা এপ্রিল, ১৯২৮ ৷৷ আজ গডফ্রাইডে। অনেককাল আগে মনে পড়ে। এইদিন বনগাঁ স্কুল থেকে সন্ধ্যাবেলা আমি আর ভরত বাড়ী চলে এসেছিলাম। সেইটাতেই যেন ভরত মারা গেল। কতকালের কথা সে সব, তব মনে হয় সেদিন। তারপর কত গডফ্লোইডে কেটে গেল। কালের চক্ৰটা ভয়ানক বেগে ঘরে চলেছে। uS