পাতা:দুই বাড়ি - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এতাহার পক্ষে মঞ্জুর চিন্তা করাও অন্যায়। কখনো কি সম্ভব হইবে মঞ্জুকে তাহার জীবনসঙ্গিনী করিবার ? আকাশ কুসুমের আশা ত্যাগ করাই ভালো । মঞ্জুর বাপ-মা তাহার সঙ্গে কখনো কি মঞ্জুর বিবাহ দিবেন। বলিয়া সে ভাবিয়ছিল ? সে নিজের মনের মধ্যে ডুবিয়া দেখিল এমন কোনো দুরাশা তাহার মনে কোনোদিনই জাগে নাই। তবে আজ কেন সে সুনীলবাবুর কথায় এত বিচলিত ও উত্তেজিত হইয়া উঠিয়াছে ? মধুর সঙ্গে মুখের আলাপ আছে মাত্র। ইহাঁর অতিরিক্ত অন্য কিছুই নয। অপর পক্ষে মঞ্জু বড়মানুষের মেয়ে-সে লালিত হইয়াছে সচ্ছলতার মধ্যে, প্রাচুর্যের মধ্যে, অন্য ধরনের জীবনের মধ্যে। সুনীলবাবুর সঙ্গে বিবাহ হইলে মঞ্জু জল হইতে ডাঙায় পড়িবে না-নিজেদের শ্রেণীর মধ্যেই সে থাকিতে পরিবে । চিরাভ্যস্ত জীবনযাত্রায় জোর করিযী পরিবর্তন নিতান্ত আবশ্যক হইয়া পড়িবে না । সুনীলবাবুর ঘরে সে মঙ্গলময়ী গৃহলক্ষ্মী রূপেনা, কথাটা ভাবিতে গেলে আবার যেন বুকের মধ্যে কোথায় খচ করিয়া (छ । পরদিন সকালে জন দুই মক্কেল আসিল । ধানের জমি লইয়| মারপিটের মোকৰ্দমা, তবে নিধুর মনে হইল ইহারা যাচাই করিয়া বেড়াইতেছে কোন মোক্তারের কত দর-শেষ পর্যন্ত যদুবাবুর কাছে গিয়াই ভিড়িবে। নিধু নিজের দর কিছুমাত্র কমাইল না-কিন্তু বিস্ময়ের সহিত দেখিল লোক দুটি তাহাকেই মোক্তার নিযুক্ত করিল। ঘণ্টাখানেক ধরিয়া তাহদের লইয়া ব্যস্ত থাকিবার পর নিধু বলিল—তোমরা যাও বাজার থেকে খাওয়া-দাওয়া সেরে এস-প্ৰথম কাছারীতেই তোমাদের মোকৰ্দমা রুজু করে দেবআমার টাকা আর কোটের খরচটা দিয়ে যাও SSS