পাতা:দুই বাড়ি - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কোণে বেদনাক্স ছায়াপাতে মুখখানি অপরূপ ব্যথাভারা লাবণ্যে ও ইতে মণ্ডিত হইয়া উঠিল—এক মুহুর্তে যেন মনে হইল এ মণ্ডু ষোড়শী বালিকা নয়, বহুযুগের প্ৰৌঢ়া জ্ঞানময়ী, বহু অভিজ্ঞতা ও বহু ক্ষয়ক্ষতি দ্বারা লব্ধশক্তি পুরাতনী নারী-বালিকা হইয়া আজ আসিয়াছে যে, সে ইহার নিতান্তই लौल-अद्भ8 कऊलाल qडाgद अनिभाएछ । নিধু মুগ্ধ হইয়া গেল, তাহার বুকের মধ্যে যেন কেমন করিয়া উঠিল। মধুকে সে আর খোচা দিয়া কথা বলিবে না, বালিকার মনে কেন সে মিছামিছি কষ্ট দিতে গিয়াছিল ? ময়ু চপলা বটে, কিন্তু সে গতীর, সে ধীর বুদ্ধিমতী, অতলস্পর্শ তাহার মনের রহস্য। এতদিন সে মধুকে ঠিক চিনিতে পারে নাই। নিধু কোনো কথা বলিতে পারিল না, কথার সে উত্তর দিতে পারিল না। জীবনে এমন সময় আসে, এমন মুহুর্তের সন্ধান মেলে-যখন কথা মুখ দিয়া বাহির হইলেই মনে হয় এই অপরূপ মুহুর্তটির জাদু কাটিয়া যাইবে, ইহার পবিত্রতার ব্যাঘাত ঘটবে। তাহ’ বুকের মধ্যে কিসের ঢেউ যেন উপরের দিকে ধাক্কা দিতেছিল—সেটাকে আর একটু প্রশ্রয় দিলেই সেটা কান্নারূপে চোখ দিয়া গড়াইয়া সব ভাসাইয়া ছুটিবে। কিছুক্ষণ দুজনেই চুপচাপ-নিস্তব্ধতা যে একটা মনােরম মায়া স্মৃষ্টি করিয়াছে এই ঘরের মধ্যে-ত যত কম সময়ের জন্যেই হীেক না কেন কেহ চাহে না যে আগে কথা বলিয়া রূঢ় আঘাতে তাহা ভাঙিয়া দেয় । এমন সময় হঠাৎ ঘরে ঢুকিলেন নিধুর মা । কেতই্যারে, ও নিধু—এখানে বসে ? মধু মা কি করচ, শিশি-বোতল নিয়ে ? ওগুলো কি মা ? -আসুন, আসুন, জ্যাঠাইমা-সকালে যে ! -তোমাদের পুজোর পাটাপাত দেখতে এলাম--তা এত সকালে পাটা পাতলে যে তোমরা! এখনো তো পুজোর সতেরো দিন বাকি SGS