পাতা:দুনিয়ার দেনা - হেমলতা দেবী.pdf/১১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সাঁঝের পাড়ি
১০৯

রইল খেয়ার বুকে। আকাশে খুব মেঘ, মাঝি চেয়ে চেয়ে তাই দেখ্‌ছে।

8

 সাঁঝের পাড়ির সময় এখনো হয়নি, একটু আগেই আজ সবাই এসে জুটল,—আকাশের গতিক দেখে। সুরী, বীণকর, বাউল, সবাই এসেছে—অন্য যাত্রীও ঢের। কালামাঝিও আজ একটু সকাল সকাল খেয়া ছাড়বে—আকাশে মেঘের খুব ঘটা।

 হালটি কালামাঝি ফেরালো তঈর থেকে খেয়া খানা ভেসে এল জলের দিকে। মাথা উঁচু করে সবাই একবার আকাশের দিকে তাকাল। মাথার উপর কি কালো মেঘ! একজন যাত্রী বলে উঠল, “ও বাবা মেঘের ঘটা দেখ, খেয়াখানা পেরতে পারলে হয়, মাঝ নদীতে তুফান না জাগে, কে জানে কপালে কি আছে!” লোকটা কালামাঝির খেয়ার আজ নূতন উঠেছে। পুরোণ যাত্রীরা দু একজন বলে উঠল “ভয় নেই হে ভয় নেই, মাঝি বড় পাকা, বড় হুঁসিয়ার, কত ভয়ানক তুফানে সে আমাদের পার করেছে, জান না তো? এ কালামাঝির খেয়া এ খেয়ায় উঠলে কোনো ভয় থাকে না।

 কালামাঝির সুখ্যাতি শুনে সুরীর মুখখানা খুসীতে ভরে উঠল। সে কালামাঝির হাঁটু ধরে নাড়া দিয়ে