পাতা:দুনিয়ার দেনা - হেমলতা দেবী.pdf/১১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সাঁঝের পাড়ি
১১১

 মা। বাউলকে জিজ্ঞাসা কর সকাল, দুপর, সাঁজে খেয়া গান গায় কি না?

 সুরী মাঝিকে ছেড়ে বাউলের দিকে ফিরে বল্‌ল “বাউল দাদা! মাঝি বলচে খেয়া গান গায়; সত্যি?”

 বা। হাঁ দিদি, খেয়া আসতে যেতে দিন রাত গান গায়।

 সু। তোমাদের কথা কিছুই বোঝা যায় না, কি যে তোমরা বল!

 বাউল বীণকরের দিকে ফিরে বলল কালা মাঝির বুকে সুর বাজে ভাই বীণকর! আসতে যেতে খেয়া তার বুকে সুর বাজায় শুনলে তো?"

 বী। “তাই তো শুনছি, অশ্চর্য্য, ব্যাপার, সুরের যে কোথায় শেষ কে জানে?”

 বা। “শেষ ঐ ফাঁকের মধ্যে, ফাঁকের সুরটা কানে এখনো ভাল করে বসেনি বলে ওটা ধরছে পারছ না, আরো শুনতে হবে হে আরো শুনতে হবে।”

 বী। ভাই বাউল! তোমার একতারাটা একবার বাজাও ভাই, ভালো করে ঐ সুরটা প্রাণের মধ্যে বসিয়ে নিই।

গানে বাউলের শ্রান্তি নেই।

 একতারায় ঘা দিয়ে সে তখুনি গান সুরু করল।

ওরে ও ক্ষ্যাপা বাউল