কে। “তা হতেই পারে, গাঁয়ের ছেলে বুড়ো যে অশক্ত যে দুঃখী, সারাদিন যে কোন কারণে খেতে পায়নি তেমন প্রত্যেককেই সনাতন রোজ সন্ধ্যার সময় সিধে মেপে দেয়। আর গাঁয়ের যার বাড়ীতে যত গরু আছে তারা খাওয়াতে না পারলে বিচালী ভূসী যা দরকার সব নিজের দোকান থেকে পাঠিয়ে দেয়। কেউ জিজ্ঞাসা করলে বলে গাইয়ের কাছে যে আমার অনেক দেনা’ তার দুধ খেয়ে মানুষ হয়েছি, জান না?”
পু। “দেখলে তো হে, আমি তো বলেইছি ওর জ্ঞান আছে।”
“সনাতনের জমি জায়গা ঢের। জমির উপর তার কি যত্ন। নিজে সমস্ত জমি তদারক করে, কোথাও এক ফোঁটা পচা জল দাঁড়াতে দেয় না, কোথাও একটু পচা গন্ধ বার হতে দেয় না, পাছে জমি খারাপ করে। বল্লে বলে, দেনা মশায় দেনা, মাটির কাছে আমার বেজায় দেনা সে আমাকে কত অন্ন খাইয়েছে, জান না?
পু। দেখলে, কি রকম জ্ঞান?
কে। আরো তার কত কি কাণ্ড কারখানা আছে সব জানতে গেলে তার বাড়ী যেতে হয়।
পু। যেতেই তো হবে, আজই যেতে হবে।
ক। কখন?
পু। এখুনি, তাড়াতাড়ি এখানকার কাজ সেরেই।