পাতা:দুনিয়ার দেনা - হেমলতা দেবী.pdf/২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৪
দুনিয়ার দেনা

থেকেই অর্থোপার্জ্জন আরম্ভ করবে বলে বারবার শপথ করতে লাগল।

 দেবদূত তাকে ছেড়ে দিলেন কিন্তু বাড়ী ফিরে প্রজাদের সঙ্গে পরামর্শ করে রাজ্যময় এই নিয়মজারী করলেন যে, যে কেউ বিনা পরিশ্রমে অলস হয়ে দিন কাটাবে, খবর পাওয়া মাত্র, তার সমস্ত সম্পত্তি সরকারে বাজেয়াপ্ত করা হবে। সকলে এ আদেশ মাথা পেতে স্বীকার করে নিল।

 দেবদূতের গায়ে ছিল অসুরের বল। বার ক্রোশ পথ হেঁটে গিয়ে তিনি আবার তখনি ফিরে আসতে পারতেন। একমন বোঝা অনায়াসে বয়ে দুই ক্রোশ পথ চলে যেতেন।

 একদিন রাত্রে দেবদূত ঘুমোচ্ছেন দুজন চোর এসে তাঁর কুটীরে সিঁদ কেটে ঢুকেছে। একটুখানি শব্দ হতেই তাঁর ঘুম ভেঙ্গে গেল। উঠেই দুহাতে চোর দুজনকে জাপটে ধরে বল্লেন কি চাস? আমার কি সোনা দানা আছে যে তোরা চুরী করতে এসেছিস? ঘটি বাটি যা আছে তাত চাইলেই পেতিস, তার জন্যে সিঁদ কাটা কেন? ঐ যা দুচার খানা কাপড় চোপড় আছে তাই নিয়ে চলে যা। আর কখনো চুরী করিসনে, খেটে খাগে। তাহলে রাতে আরামে ঘুমিয়ে বাঁচবি। ঘুমের সময়টা এমন করে ঘুরে ঘুরে মরিসনে।